‘ডিবি পরিচয়ে কেউ গাড়িতে উঠতে বললেই উঠবেন না’

‘ডিবি পরিচয়ে কেউ গাড়িতে উঠতে বললেই উঠবেন না’

ভুয়া ডিবি পুলিশের বিষয়ে সতর্ক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ডিবি পরিচয় দিয়ে কেউ গাড়িতে উঠতে বললেই উঠবেন না।

সোমবার (২ জানুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই পরামর্শ দেন। ভুয়া ডিবি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর রাতে এক ভুক্তভোগী রিকশায় করে মতিঝিল সিটি সেন্টার পার হয়ে অলিম্পিয়া বেকারির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি কালো রঙের নোয়াহ গাড়ি তার গতিরোধ করে। এরপর ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার কাছে অবৈধ মালামাল রয়েছে দাবি করে দুই হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে গাড়িতে তোলা হয়। এরপর চক্রটি ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে তাকে ঢাকা-মাওয়া সড়কে পিডিএল ক্যাম্পের সামনে নামিয়ে দেয়। ভুক্তভোগী এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশের পাশাপাশি ডিবিও ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরপর গাড়ির মালিক ও চালককে জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, চক্রটি পারস্পরিক যোগসাজশে প্রাইভেটকার নিয়ে ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আশপাশে ঘোরাফেরা করে। এরপর বিভিন্ন ব্যক্তিদের টার্গেট করে পেছন পেছন গাড়ি নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে গিয়ে ব্যারিকেড দেয়। তখন নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর ভিকটিমের সঙ্গে থাকা টাকা ও মূল্যবান মালামাল কেড়ে নিয়ে সুবিধাজনক নির্জন স্থানে ফেলে যায়। এই চক্রের প্রধান শহীদুল ইসলাম মাঝি। তার বিরুদ্ধে সারাদেশে ১৬টি মামলা রয়েছে। পলাতক শহীদুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে, রোববার রাতে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির এলাকা থেকে ভুয়া ডিবি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- পীযুষ সুর (২৭), মো. হারুন (৩৮), জোবায়ের হোসেন পারভেজ, আরিফ হোসেন (২৯) ও খোকন চন্দ্র দেবনাথ (৪২)। তাদের কাছ থেকে দুটি মাইক্রোবাস, একটি প্রোবক্স প্রাইভেটকার, দুটি পুলিশের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট ও একটি হ্যান্ডকাপ জব্দ করা হয়।