ডাসারে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী মনিরুজ্জামানের সীমাহীন দূর্নীতি! এবার হেলিপোর্টের জমি অন্যের নামে খারিচ
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এস এম মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি আর ঘুষ-বাণিজ্য সহ অধিক অর্থের বিনিময় অন্যেও নামে খারিজ করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকার বিনিময়ে অনিয়মকেই নিয়ম করা তার কাজ।
সরেজমিনে জানা গেছে,নবগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) আদায়, জমির নামজারি, সরকারি জমি রক্ষণাবেক্ষণ, বন্দোবস্ত ও অর্পিত সম্পত্তি লিজ দেওয়া, এক জনের জমি অন্য জনের নামে নামজারি করা এবং বিনা নোটিশে নামজারি কর্তন করে অন্যের নামে অন্তর্ভুক্ত করা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় জমিমালিকদের সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন এলাকবাসী।
সম্প্রতি এক তথ্যে সুত্রে জানা যায়, ৮৩ নং খতিয়ানের ২৮ নং দিয়াকান্দি মৌজার ১৫৪,১৫৫ও১৫৬ নং দাগে মোট ১.১৭ একর সম্পত্তি হইতে ক্রয় সুত্রে ৮৩.৭৫ শতাংস জমি খারিজ রয়েছে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এর কন্যা সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন গং দের নামে। যাহার কেস নাম্বার ৫/১৫-১৬,১৪১/১৫-১৬ তারিখ ১৯-০৫-২০১৫ইং।
কিন্তু ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এস এম মনিরুজ্জামান অধিক টাকা ঘুস বানিজ্যের মাধ্যমে সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন গংদের নামের সম্পত্তি হইতে ৩৪.০৮ শতাংস জমি (হেলিপোর্ট) সহ মোট ৬৮.০৫ শতাংস জমি সুনীল বালা ও মনোজ বালার নামে খারিজ করেন। যাহার কেস নাম্বার ৮৮৯/২১-২২,৬৯০/২২-২৩ এবং ১৭০১/২২-২৩. পর্চায় অনুসারে দেখা যায় ওই খতিয়ানের তিনটি দাগে মুল মালিক বিশ্বেশ্বও বালার সম্পত্তি রয়েছে মাত্র ৩৩.২৫।
ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই করেন না ঐ কর্মকর্তা। সাধারণ জমির নামজারিতেও তিনি বিঘাপ্রতি আদায় করেন ১৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। ১৪৪ মামলার তদন্তে ৩০ হাজার টাকার বিনিময় বিবাদির পক্ষে মিথ্যা রিপোট দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুনরায় নারাজি দিয়ে সঠিক তদন্ত রিপোট দেয়া হয় কোর্টে।
দাবিকৃত টাকা না দিলেই নানা অজুহাতে ফাইল আটকে রাখেন। এমনকি ঘুষবাণিজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই তার সুবিধাভোগী প্রভাবশালীদের দিয়ে জমিমালিকদের হয়রানি করে থাকেন।
ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এস এম মনিরুজ্জামান বলেন,কাগজ ছাড়া কোন নাম খারিজের কাজ করিনি। কাজ করার পর, খুশি হয়ে কিছু দিলে ক্ষতিকি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) মোঃ কায়েসুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দেখা হবে।