চক্ষু চিকিৎসায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়

চক্ষু চিকিৎসায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশে চক্ষু চিকিৎসা ও গবেষণা উন্নয়নে পাশে থাকার কথা জানিয়েছে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চক্ষু গবেষণা, রেসিডেন্সি কারিকুলামের মানোন্নয়ন ও শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারেও সম্মতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকালে জাপানে সফররত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে বুধবার (১ মার্চ) জাপানের বিশ্ববিখ্যাত টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাকোতো আইহারার আমন্ত্রণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ইউনিভার্সিটি অব টোকিওর পিএইচডি ফেলো ডা. তাজবীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বিএসএমএমইউর উপাচার্য বাংলাদেশের চক্ষু চিকিৎসা ও গবেষণার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক কিউএস র‌্যাংকিং-এ ২৩ নম্বরে অবস্থান করা টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে রেসিডেন্টদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নে বিএসএমএমইউয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে জাপানিজ শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা নেওয়ার কথা জানান।

এসময় প্রফেসর আইহারা বাংলাদেশি চক্ষু চিকিৎসকদের ব্যাপক প্রশংসা করেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত বাংলাদেশি চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিকমানের বেশ কিছু আর্টিকেল সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি ক্লিনিক্যাল রিসার্চের পাশাপাশি মৌলিক গবেষণার ব্যাপারেও গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং বিএসএমএমইউকে চক্ষু গবেষণা-রেসিডেন্সি কারিকুলামের মানোন্নয়ন ও শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হন। সবশেষে উপাচার্য প্রফেসর আইহারাকে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সফরের আমন্ত্রণ জানান।

সৌজন্য সাক্ষাতের পর বিএসএমএমইউ উপাচার্য টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতাল, বহির্বিভাগ, অন্তর্বিভাগ, চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণাগার, সেল কালচার ল্যাব, জেনেটিক ও অ্যানিম্যাল রিসার্চ সেন্টার, মেডিকেল ও জেনারেল লাইব্রেরি, ক্যান্টিন, জিমনেশিয়াম, কো-অপ শপ, বিখ্যাত আকামন ও ইয়াসুদা অডিটোরিয়াম ঘুরে দেখেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় নথিবদ্ধ করেন।