গাজা যুদ্ধ নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে এরদোগানের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়

গাজা যুদ্ধ নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে এরদোগানের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নৃশংসতা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ১২ হাজারের উপরে বেসামরিক মানুষ মারা গেছে। এদের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার শিশু। নারী প্রায় ৩ হাজার। এছাড়া তাদের অমানষিক হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি।

গাজার অবস্থা এত ভয়াবহ যে বর্ণনা করা কঠিন। সেখানে চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা ও যুদ্ধারাধ। কিন্তু এর পরেও ইসরায়েলের পক্ষে সাফাই গাইছে পশ্চিমা বিশ্ব। এদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আমেরিকা, জার্মানি, ফ্রান্স ও বৃটেন।

তবে প্রথম থেকেই গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তােইয়্যেপ এরদোগান। এবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সঙ্গে প্রকাশ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের।

জানা গেছে, সংক্ষিপ্ত এক সফরে শুক্রবার জার্মানিতে যান এরদোয়ান। দ্বিপাক্ষিক এক বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলন করতে আসেন এরদোয়ান ও শলৎজ। সেখানে হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রসঙ্গ নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, “ইসরায়েলের প্রতি আমাদের সংহতি নিয়ে কোনো ছাড় (আলোচনা) হবে না।”

শলৎজ এমন কথা বলার পর এরদোয়ান মন্তব্য করেন, জার্মানি ইসরায়েলের কাছে দায়বদ্ধ। কারণ তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বিরুদ্ধে হলোকাস্ট (গণহত্যা) চালিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের প্রতি তুরস্কের কোনো দায় নেই। এ কারণে তারা প্রকাশ্যে যা খুশি তাই বলতে পারেন।

এ ব্যাপারে এরদোয়ান বলেন, “ইসরায়েলের কাছে আমাদের কোনো দায় নেই। এ কারণে আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি। যদি আমাদের দায় থাকতো, আমরা স্বাধীনভাবে কিছু বলতে পারতাম না। কিন্তু যাদের আছে (জার্মানিসহ গণহত্যায় অংশ নেওয়া অন্যান্য দেশ) তারা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না।”

এছাড়া ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন এরদোয়ান। গাজায় নির্বিচার বোমা হামলারও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। এরদোয়ান বলেছেন, ইহুদিদের ধর্মীয়গ্রন্থ তোরাহতে শিশু ও হাসপাতালের হামলার নির্দেশনা নেই।

এ সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেন এরদোয়ান ও শলৎজ। 

সূত্র: আল জাজিরা