অনলাইন জুয়া ও মোবাইল গেমিংয়ে আসক্ত হয়ে পড়ছে কুড়িগ্রামের শিশু-কিশোররা
অনলাইন জুয়া ও মোবাইল গেমিংয়ে আসক্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের শহর ও চরাঞ্চলের শিশু-কিশোররা। পড়াশোনা বাদ দিয়ে দিনের সিংহভাগ সময়ই তারা ব্যয় করছে গেমিংয়ের পেছনে। এছাড়া অনলাইনের বেটিং সাইটগুলোতেও রয়েছে তাদের অবাধ চলাচল। অনেকেই জুয়ার টাকা যোগাড় করতে অল্প বয়সেই পড়াশোনা বাদ দিয়ে জড়িয়ে পড়েছে চুরি-ছিনতাইসহ নানা নাশকতায়।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শহর থেকে গ্রাম প্রায় সবখানেই কিশোরদের দলবেঁধে মোবাইলে ঝুঁকে থাকার দৃশ্য। যে বয়সে মাঠে খেলাধুলা করার কথা, সেখানে তারা ডুবেছে মোবাইল গেমের নেশায়।
দেশের দারিদ্রপীড়িত জেলা কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলেও শিশু-কিশোররা আসক্তি বেড়েছে মোবাইল গেমিংয়ে। বাবা-মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটছে তাদের গেইমের পেছনে। কেউ কেউ খরচ করছে টাকাও।
অনলাইনে বাজি খেলার সংখ্যাটাও কম নয়। বিভিন্ন ধরনের বেটিং সাইট তৈরি হচ্ছে কিশোরদের টার্গেট করে। দ্রুত সময়ে কয়েকগুণ টাকার প্রলোভনে পা দিচ্ছে অনেকেই। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে এমনই অনলাইন জুয়া চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
মোবাইল গেমিং ও জুয়ায় আসক্ত একাধিক তরুণ জানায়, গেমিংয়ের আপডেট ভার্সন ইন্সটলেশনের জন্য তারা মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে থাকে। ‘টপ-আপ’ করার নামে ধাপে ধাপে অর্থ ব্যয় করে কিনতে হয় গেমসের একেকটি ফিচার সুবিধা। এসব টাকা জোগাড় করতে অনেকে পড়াশোনা ছেড়ে কাজে নেমে পড়েছে। কেউ দামি মোবাইল কেনার আশায় পাড়ি জমিয়েছে রাজধানী ঢাকায়।
উঠতি বয়সীদের এমন মোবাইল আসক্তিতে শঙ্কায় অভিভাবকরা। আগামী প্রজন্মকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষায় সরকারি পদক্ষেপের দাবি তাদের। বেশিরভাগ মোবাইল গেম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হলেও, ভিপিএনের মাধ্যমে তাতে যুক্ত থাকে কিশোররা।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, আমরা কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ এককভাবে কাজ করছি না। অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট, সাইবার ক্রাইম ইউনিট সকলে মিলেই অনলাইন গেমিং বা অনলাইন গ্যাম্বলিং নিয়ে কাজ করছি। ইতোমধ্যে আমরা অনেকগুলো লোককে আইনের আওতায় আনতে পেরেছি।