রাজনৈতিক উত্তেজনা রোধে সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন করুন

রাজনৈতিক উত্তেজনা রোধে সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন করুন

বাংলাদেশে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে একাধিক সহিংস ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর)। উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা রোধে সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন করতে  রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। 

ওএইচসিএইচআর-এর ওয়েবসাইটে ‘বাংলাদেশ পলিটিক্যাল প্রটেস্টস’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি নোটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।  

ওএইচসিএইচআর আরও লিখেছে— দেশ যখন নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে, আমরা সমস্ত রাজনীতিদের প্রতি আহ্বান জানাই যে এই ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য এবং সহিংসতাকে উস্কানি দিতে পারে এমন কোনও বিবৃতি বা কাজ এড়িয়ে চলার জন্য। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের সাথে জড়িত কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্য, ছয়জন বিরোধী দলের কর্মী এবং দুইজন পথচারী রয়েছেন। .

আরও লেখা হয়েছে— ২৮ অক্টোবর বিরোধী বিক্ষোভকারীরা প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারকদের বাসভবনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে এবং প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক বিক্ষোভকারী এবং মোটরসাইকেলে থাকা মুখোশধারী ব্যক্তিদের দ্বারা হামলার শিকার হন, যারা ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক বলে মনে করা হয়। 

বিক্ষোভের জবাবে পুলিশ রড, লাঠিসোঁটা, রাবার বুলেট এবং সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করেছে বলে জানা গেছে। তারা সারা দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছে, নির্বিচারে নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যসহ শতাধিক লোককে গ্রেফতার ও আটক করেছে। 

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে যে, শুধুমাত্র কঠোরভাবে প্রয়োজন হলেই যেন বল প্রয়োগ করা হয় এবং যদি তা করা হয়, তা যেন বৈধতা, সতর্কতার সঙ্গে করা হয়। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে নোটে। এতে বলা হয়েছে— মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অভিযুক্ত করা হয়। গ্রেফতারের ভয়ে আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র বিরোধী নেতা আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। 

ওএইচসিএইচআর এই নোটে আরও লিখেছে— আমরা এই সংকটময় সময়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা রোধে সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন করার জন্য এবং নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় এবং পরে সকল বাংলাদেশিদের জন্য মানবাধিকার সম্পূর্ণভাবে সমুন্নত রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।