মেসি-নেইমার-এমবাপে-সালাহদের ঢাকায় আনার পরিকল্পনা বাফুফের
                                ১৯৭২ সালের ১৫ জুলাই প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। দেশের প্রধান এই ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন গত বছর জানুয়ারিতে বলেছিলেন, বাফুফের ৫০ বছর পূর্তি তিনি স্মরণীয় করে রাখতে চান। তবে করোনা পরবর্তী সময় ও বিশ্বকাপের বছর বলে বিদায়ী ২০২২ সালে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কিছুই আয়োজন করতে পারেনি বাফুফে।
বাফুফে অবশ্য পরিকল্পনা থেকে সরে আসেনি। গত বছর না পারলেও প্রতিষ্ঠানের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ বছর বড় কিছু আয়োজনের পরিকল্পনা করছে তারা।
এ বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘আমরা একটি বড় প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের কথা চিন্তা করছি। আমাদের সভাপতি মহোদয়ও সেটা বলেছেন। সেটা হলো আর্জেন্টিনা দলকে আবার ঢাকায় আনার চেষ্টা করা। সঙ্গে আরেকটি ভালো দল। ব্রাজিলের বিষয়টিও মাথায় আছে সভাপতির। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচ ঢাকায় হলে তো দারুণ হবে।’
আরেকটি বিকল্প চিন্তাও আছে বাফুফের। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘আমরা আরেকটি চিন্তাও করছি। ফরাসি ক্লাব পিএসজিকে আনতে চাই। সাথে ইউরোপের আরেকটি বড় ক্লাব। হতে পারে ইংলিশ লিগের ক্লাব লিভারপুল। তাহলে পিএসজির সঙ্গে আসবেন তিন তারকা মেসি, নেইমার ও এমবাপে। লিভারপুলে আছেন মোহাম্মদ সালাহ।’
কোনো দেশ বা ক্লাবকে কি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে? মো. আবু নাইম সোহাগের জবাব, ‘না। কারণ, যে ভেন্যুতে খেলা হবে সেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এখনো প্রস্তুত নয়। আগে স্টেডিয়াম উপযুক্ত হোক, তার পর কোনো দেশ বা ক্লাবকে প্রস্তাব দেবো।’
শনিবার তো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পরিদর্শন করলেন। কী মনে হলো? ‘আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে প্রথমে মাঠ, ড্রেসিংরুম ও মিডিয়া সেন্টার তৈরি করতে বলেছি। সেটা মার্চের মধ্যে হয়তো হয়ে যাবে। তখন আমরা কেবল স্থানীয় খেলা এখানে আয়োজন করতে পারবো। যদি মার্চে এই প্রাথমিক কাজগুলো হয়ে যায় তাহলে চলতি ফেডারেশন কাপের দুটি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজনের চিন্তাভাবনা আছে আমাদের’-বলছিলেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক।
তাহলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের জন্য কবে নাগাদ প্রস্তুত হবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম? কবেই বা এই ভেন্যুতে হবে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। বাফুফে সাধারণ সম্পাদকের জবাব, ‘সেটা করতে অবশ্যই আরও সময়ের প্রয়োজন। কারণ গ্যালারিতে শেড, চেয়ার স্থাপন, ফ্লাড লাইটসহ শতভাগ প্রস্তুত না হলে তো এখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হবে না।’
‘আমরা যদি কোন দেশ বা ক্লাবকে আমন্ত্রণ জানাই তাহলে তারা আগে ভেন্যু দেখতে আসবে। খুব সহসাই আমাদের সভাপতি দেখা করবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপির সঙ্গে। কারণ, আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে গেলে অনেক বিষয় আছে। ভেন্যু প্রস্তুত, অর্থকড়ি। এসব নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসতে যাচ্ছি।’
                        

                    
                
                    
                
                    
                
                    
                
                    
                
                    
                
                    
                
