ব্যাড বয়’ সাব্বিরের বড় প্রতারণা!

ব্যাড বয়’ সাব্বিরের বড় প্রতারণা!

স্পোর্টস ডেস্ক:

সাব্বির রহমানকে কেউ ডাকেন ‘ব্যাড বয়’ বলে, কেউ নামের সঙ্গে সাটিয়ে দিয়েছে ‘বিতর্কের গুরু’ তকমা। ভিন্ন ভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে নিষেধাজ্ঞাও পেয়েছেন কয়েকবার। বাংলাদেশ দলের অন্যতম সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার বিতর্কে জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত জাতীয় দল থেকে আছেন অঘোষিত নির্বাসনে। ‘ব্যাড বয়’ খ্যাত সাব্বিরের বিতর্কের ঝুলিতে এবার এসেছে জালিয়াতির অভিযোগ। ক্রিকেটার মুক্তার আলীর নামে বিদেশবিভুইয়ে অপরাধে জড়িয়েছেন তিনি। মামলা খেয়েছেন, মোটা অঙ্কের জরিমানার মুখেও পড়েছেন।

সাব্বিরের বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন অন্ত নেই। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে গিয়ে ভেঙেছেন কয়েকটি আইন। গাড়ি পার্কিং করে পুলিশি ঝামেলা বা গতিসীমা ভাঙার কারণে খাওয়া মামলা ছাড়াও প্রতারণার হাত ছড়িয়েছেন বহুদূরে। পুলিশি অভিযোগে ক্লাব থেকে সাব্বিরকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার পরও ইংল্যান্ডে তিনি বেশ কিছুদিন ছিলেন। চলতি বছরের মাঝামাঝি সেই সময়ে করেছেন ভিন্ন ধরনের জালিয়াতিও। বেশ কয়েকটি ক্লাব থেকে কয়েকহাজার পাউন্ড হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে সাব্বিরের বিরুদ্ধে। কিন্তু এতসব কিছু করেও সাব্বির পার পেয়ে গেছেন প্রতারণা করে।

বেপরোয়া জীবনযাপন আর শৃঙ্খলা ভঙের কারণে কুখ্যাত সাব্বির প্রতারণা করেছেন রাজশাহীর ক্রিকেটার মুক্তার আলীর সঙ্গে। বাংলাদেশের জার্সিতে একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি খেলা মুক্তার কখনও ইংল্যান্ডে যাননি। অথচ তিনিই ফাঁসতে চলছেন। অবস্থা এমন যে, যদি কখনও ব্রিটিশ মুলুকে যেতে চান তাহলেও পড়বেন বড় বিড়ম্বনায়। মুক্তারের নামে পুলিশ ফাইল থাকার কারণে ইংল্যান্ডে ঢুকতেও বাধার মুখে পড়তে পারেন। এমনকি গ্রেফতারও হতে পারেন। খোদ মুক্তার আলী হয়ত এসবের কিছুই জানেন না।

সাব্বির রহমান তার নাম এবং তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে ইংল্যান্ডে জালিয়াতি করেছেন। সেই বাজে কাজের খেসারত মুক্তার আলীকে দিতে হতে পারে। মুক্তারের কাছে জানতে চেয়ে ফোন নাম্বারে কল এবং মেসেজ করার পরও তার সাড়া মেলেনি। পরে জবাবও দেননি তিনি।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘হার্ড হিটারের’ অভাব পুরণ করতে আসা সাব্বির বৃষ্টি হয়ে ঝড়ার আগে নিজেই ঝড়ে পড়েছেন। ক্রিকেট ছাপিয়ে প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাৎতের ঘটনার সত্যতা জানতে সাব্বিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুরো বিষয়টিকে ‘মিথ্যে’ বলেছেন সাব্বির, ‘এমন কিছুই হয়নি। যুক্তরাজ্যে এতটা বোকামি চলে না। আর আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে কেন ওরটা (মুক্তারের) নিব। এসব পুরো তথ্য মিথ্যে, একবিন্দু সত্যতা নেই।’

বছরখানেক আগে সাব্বির একবার সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি বিবাহিত, পরিবার আছে। আশা করি ব্যাড বয় যেনো আর কখনও বলা না হয়। আমাকে যেনো ভালো কিছু বলা হয়।’ নিয়ম ভেঙে অপরাধ করা সাব্বির এবার জালিয়াতির প্রমাণ যদি সত্য হয় তাহলে কি সেই বাজে তমকা ঘুচবে? ভালো কিছু ডাক শুনতে চাওয়া সাব্বির আদপে ভালো হতে পেরেছেন কতটা!