রোমাঞ্চকর ফাইনালে ক্লাব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল
আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে পুরো খেলা জমে উঠেছিল। কেউ ধারণা করতে পারছিল না শেষ পর্যন্ত কে চ্যাম্পিয়ন হবে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে। আক্রমণের ধারের দিক দিয়ে ভীতি ছড়ানো আল হিলালের বিপরীতে ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিউস, ফেদে ভালভারদে ও করিম বেনজেমারাও নিজেদের সামর্থের সবটুকু ঢেলে দিয়েছিল। রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ৫-৩ গোলে জিতেছে রিয়াল। ক্লাব ফুটবলে এটি তাদের পঞ্চম শিরোপা।
ভিনিসিউস ও ভালভারদে রিয়ালের হয়ে জোড়া গোল করেন, অন্যটি করেন বেনজেমা। অন্যদিকে, আল হিলালের হয়ে জোড়া গোল করেন লুসিয়ানো ভিয়েতা ও একটি গোল করেন মুসা মারেগা।
রিয়াল মাদ্রিদ নিজের রেকর্ডই ভেঙেছে। ২০১৮ সালে হ্যাটট্রিক করার পথে গড়েছিল সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ড। শনিবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে ছাড়িয়ে যায় বার্সেলোনা তিন ট্রফির কীর্তি।
কার্লো আনচেলত্তির জন্যও এ দিনটি ছিল রেকর্ডের। কোচ হিসেবে তৃতীয়বারের মত এই শিরোপা জিতে তিনি স্পর্শ করলেন স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওয়ালাকে।
খেলার ৬৬ শতাংশ সময় রিয়াল বল দখলে রাখলেও সেরা সুযোগগুলো আল হিলালই তৈরি করে ভীতির সঞ্চার করেছিল।
রাবাতে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নরা শুরুতেই আল হিলালকে চেপে ধরে। খেলার ত্রয়োদশ মিনিটে বেনজেমার পাসে ভিনিসিউস প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে নেন। ১৮তম মিনিটে ডি বক্সে বল পেয়ে উরুগুয়ের মিডফিল্ডার ভালভারদের জোড়ালো শট হিলালের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায়।
খেলার ২৬ মিনিটে মোহাম্মদ কানোর পাসে রিয়ালের জালে বল পাঠিয়ে ব্যবধান কমান হিলালের মারেগা।
এরপর ৪২ মিনিটে একটি সুযোগ মিস করেন করিম বেনজেমা। কিন্তু মিস করে তা পুষিয়ে দেন একটি গোল দিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের নয় মিনিটে ভিনিসিউসের দুর্দান্ত ক্রসে গোল করেন বেনজেমা। এর চার মিনিট পর দানি কারভালহালের পাসে ভালভারদে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলটি করেন।
এরপর বেশ কয়েক মিনিট খেলায় ভীতি ছড়িয়ে ৬৩তম মিনিটে ব্যবধান কমায় আল হিলাল। সৌদ আল হামিদের পাসে লম্বা শটে গোল করেন ভিয়েতা।
এর ছয় মিনিট পর বদলি নামা দানি সেবাইয়োসের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁকানো লম্বা শটে প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস।
খেলার ৭৯ মিনিটে গোলমুখে বল পেয়ে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ঘুরে রিয়ালের জালে বল জড়ান ভিয়েতা।
খেলার বাকি সময় দুই দলই বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু সেগুলো প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পায়নি। খেলার বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে আনচেলত্তির দল।