বছরে আড়াই লাখ মানুষের ছানি অপসারণ হয় সরকারিভাবে
প্রতি বছর সরকারিভাবে আড়াই লাখ মানুষের চোখে ছানি অপসারণ হয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। চক্ষুসেবার মানোন্নয়নে কাজ চলমান আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, করোনার সময় ১৩ লাখ মানুষকে চক্ষু চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে তৃতীয় পর্যায়ে ৪ বিভাগের ১৩ জেলার ৪৫টি উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ভার্চুয়ালি যুক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্যসেবা এগিয়ে যাচ্ছে। এমনকি স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ায় বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ প্রশংসিত হচ্ছে। দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ বছর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসেবা এখন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। প্রতিটি মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হচ্ছে, এতে করে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুসহ বিভিন্ন রোগবালাই কমে এসেছে।
মন্ত্রী বলেন, সবমিলিয়ে তিন ধাপে ৭টি বিভাগের ৩৯টি জেলার ১৩৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইভিশন সেন্টার উদ্বোধন হয়েছে। এর মাধ্যমে এসব এলাকার মানুষ উন্নত স্বাস্থ্যসেবার আওতায় এসেছেন। এর ফলে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (৫ কোটির বেশি) মানুষের উন্নত চক্ষু চিকিৎসা সেবার আওতায় আসা সম্ভব।
দেশের উন্নয়নে সরকার অনেক কিছু করলেও বিএনপি দেখতে পায় না উল্লেখ করে জাহিদ মালেক সরকারের উন্নয়ন দেখতে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে এসে চোখের ছানি দূর করতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের অনেক উন্নয়ন করেছে। স্বাস্থ্যখাতেও অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছে সরকার। যার কারণে প্রান্তিক মানুষ দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। সরকারের এমন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বিএনপি চোখে দেখে না।
জাহিদ মালেক বলেন, কমিউনিটি ভিশন সেন্টার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসায় অনন্য এক নজির স্থাপন করেছে। গত ২০ বছর আগে দেশে অন্ধত্বের হার ছিল ৪৫ শতাংশ; কিন্তু বর্তমানে তা কমে মাত্র ১ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় কম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবন থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মো. তোফাজ্জল হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।