পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা আজ তোমার তরে...
ভালোবাসি যারে, তার হতে কী
দূরে যেতে পারি আমি?
ভালোবাসি যারে, সারাটি রাত ধরে
স্বপ্ন আঁখি জুড়ে, ভালোবাসি যারে...
আজ ভালোবাসার দিনে, জানিয়ে দিলাম তোমায়
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা আজ তোমার তরে...
আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস 'সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে'। তবে শুধু তরুণ-তরুণী শুধু নয়, আজ সব বয়সের মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশের আনুষ্ঠানিক দিন আজ। এ ভালোবাসা যেমন মা-বাবার প্রতি সন্তানের, তেমনি মানুষে-মানুষে ভালোবাসাবাসির দিনও এটি।
রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সারা দিন ঘোরাঘুরি করে কাটাবে ভালোবাসার মানুষগুলো। তাদের পরনে লাল, নীল, সাদা, বেগুনি, গোলাপি বিভিন্ন রঙের পোশাক আর সাজসজ্জায় ভালোবাসার দিনটি যেন বর্ণিল রঙে রঙিন হয়ে উঠবে। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কনসার্টেরও আয়োজন করা হয়েছে।
দিনটি পালন করলেও আমরা অনেকেই জানিনা এর গোড়াপত্তনের ইতিহাস। যদিও এই দিবসের শুরুটা নিয়ে প্রচলিত আছে নানান কাহিনী। তবে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত কাহিনীটি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের একজন পাদ্রী ও চিকিৎসককে নিয়ে।
২৬৯ খৃষ্টাব্দের কথা। ওই সময় ইতালির রোম শহরে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে একজন পাদ্রীর বাস ছিলো। তিনি আবার একই সাথে চিকিৎসকও ছিলেন।
তৎকালীন রোমান সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস। তিনি রাজ্যে সুশাসন বজায় রাখতে তরুণ-যুবকদের নিয়োগ দেন। দায়িত্ববান ও সাহসী করে গড়ে তুলতে রাজ্যে তিনি যুবকদের বিয়ে নিষিদ্ধ করেন। বিয়ে নিষিদ্ধ করায় রাজ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। সকল নিষেধ অমান্য করে পাদ্রী সেন্ট ভ্যালেন্টাইন গোপনে তরুণ-তরুণী যুগলদের বিয়ের আয়োজন করেন। এর ফলে রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাঁকে বন্দী করেন। বন্দী অবস্থায় তিনি এক কারারক্ষীর অন্ধ মেয়ের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিলে তাঁর জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে যায়।
এতে সম্রাট ক্রাডিয়াস ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। এরই মধ্যে দৃষ্টি ফিরে পাওয়া মেয়েটির সাথে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায় ভ্যালেন্টাইনের। মৃত্যুদণ্ডের ঠিক আগের মূহুর্তে ভ্যালেন্টাইন কারারক্ষীদের মাধ্যমে একটি গোপন চিঠি লিখে পাঠান সেই মেয়েটিকে। ওই চিঠির বিদায় সম্ভাষণে লেখা ছিলো, From your valentine। এই বিদায় সম্ভাষণটি সবার হৃদয়ে নাড়া দিয়ে যায়। আর সেই দিনটিও ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি৷ জানা যায়, পরে ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে পোপ গেলাসিয়াস প্রথম এই দিনটিকে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ হিসেবে ঘোষণা করেন৷
১৭০০ শতাব্দীতে দিনটিকে জনপ্রিয়ভাবে পালন শুরু করে ব্রিটেন৷ শুরু হয় হাতে লেখা কার্ড অথবা উপহার বিনিময়৷ এরপর ১৮৪০ সালে বাণিজ্যিকভাবে প্রথম ‘ভালোবাসা দিবস’-এর উপহার তৈরি শুরু করেন এস্থার এ হাওল্যান্ড৷ পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো ‘ভ্যালেন্টাইন কার্ড’-টি সংরক্ষিত আছে লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে৷