ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দেবেন প্রধানমন্ত্রী, বরণে প্রস্তুত ফরিদপুর

ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দেবেন প্রধানমন্ত্রী, বরণে প্রস্তুত ফরিদপুর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলাকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে নতুন রূপে। এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন ও জংশন সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে সাঁটানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে করে প্রধানমন্ত্রী ভাঙ্গার বামনকান্দা রেলস্টেশনে এসে নামবেন। তার আগে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় সুধী সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ট্রেনযোগেই আবার ভাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হবেন। এসে ভাঙ্গা-ঢাকা ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করে দুপুর ২টার দিকে জনসভায় যোগ দেবেন।

বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) ফরিদপুরের সমন্বয়ক শিপ্রা গোস্বামী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুরে আসছেন। তার কাছে আমাদের কিছু দাবি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। ফরিদপুরে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চাই আমরা। ফরিদপুরের চেয়ে অনেক ছোট ও নতুন জেলা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়ার সব যোগ্যতাই ফরিদপুরের রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে যদি নতুন করে একটি বিভাগ করা হয়, সেক্ষেত্রেও ফরিদপুরকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। আমাদের এসব চাওয়া প্রধানমন্ত্রীর জানা আছে এবং তিনি এসব খুব গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।

জেলাবাসীর দাবি প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে এই অঞ্চলে একটি ইকোনমিক জোন বা ইপিজেড স্থাপন করার। এতে একদিকে যেমন এই অঞ্চলে শিল্পের বিস্তার ঘটবে, পাশাপাশি ওইসব শিল্পের ওপর ভর করে অনেক শিক্ষিত যুবকের চাকরি ও উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সুগম হবে।

ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে তার নিরাপত্তার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট সব শাখার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয়ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।