ছুটির দিনে পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত পুরো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। পরিবার-পরিজন সঙ্গে নিয়ে আসা পর্যটকরা মেতেছেন আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। কেউ যেন ইচ্ছের ডানায় ভর দিয়ে স্বচ্ছ জলরাশির ঢেউয়ের খেলায় উদ্ভাসিত। আর কেউ বালিয়াড়ির সঙ্গে পায়ের খেলায় মগ্ন। আবার অনেকেই ছুটছেন ঘোড়ার পিঠে, ছাতায় বসে সাগর উপভোগের মগ্নতায়।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের কলাতলী, সুগন্ধা, লাবণী পয়েন্ট ঘিরে দেখা মেলে এমন দৃশ্যের। সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে এসেছেন তারা।
সৈকতে ভ্রমণে আসা বিপুলসংখ্যক পর্যটকের গল্প অনেকটাই একই। তারা বলছেন, সাপ্তাহিক ছুটিতে যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততা শেষে অবকাশ যাপন, সঙ্গে সাগরের বিশালতা উপভোগ।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা সামশুল আলম পরিবার নিয়ে সৈকতের বালিয়াড়িতে খেলায় মেতেছেন। তিনি বলেন, ‘কর্মব্যস্ত জীবনে পরিবারের সদস্যদের তেমন একটা সময় দেওয়া হয় না। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তাদের সময় দিতে ছুটে আসা সাগরতীরে। কক্সবাজারের আবহাওয়া ও পরিবেশ এখন ভ্রমণ উপযোগী।’
আরিফ নামের অপর এক পর্যটক জানান, কক্সবাজারের সমুদ্র দেখলেই মনের সকল গ্লানি ভুলে সজীবতা ফিরে পাওয়া যায়। এখানে বারবার আসতে মন চায়। পর্যটকদের রাত্রি যাপনে ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস রয়েছে। প্রতিদিন রাত্রি যাপন করতে পারে লাখের বেশি মানুষ। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারে লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন বলে জানিয়েছেন হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার।
আবুল কাসেম সিকদার জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকে মুখরিত সাগরতীর। হোটেল দি কক্স টুডের ম্যানেজার আবু তালেব জানান, ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটক আসবে এটা স্বাভাবিক। পর্যটক আসলে ব্যস্ততাও বাড়ে, ব্যবসাও হয়। বছরজুড়ে যেন পর্যটকরা ভ্রমণে আসেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, সাপ্তাহিক ছুটিতে কক্সবাজারে এখন লাখের অধিক পর্যটক এসেছে। যারা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ উপভোগ করছেন নিজের মতো। পর্যটকদের সার্বিক সেবা ও নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো ও সেবা নিশ্চিতে অংশীজনদের সমন্বয়ে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। সার্বক্ষণিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিচকর্মীরা মাঠে রয়েছেন।