গুণীজনদের অনুসরণ করেই দেশ এগিয়ে নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

গুণীজনদের অনুসরণ করেই দেশ এগিয়ে নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

গুণীজনদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমাদের দেশকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেব। কিন্তু আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে, আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো।

সোমবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য... ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছি, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। যখন ২০২১ সালে আমরা উন্নয়নশীল দেশ পেয়েছি, তখন আমাদের ঘোষণা- ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব।থ 

তিনি বলেন, শিক্ষা-দীক্ষা, সাহিত্যচর্চা, সংস্কৃতি- সেই সঙ্গে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিসহ সব দিক থেকে বাঙালি জাতি বিশ্বে মাথা উঁচু করেই চলবে। সেটাই আমি আশা করি।

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক ২০২৩থ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রাক্কালে এই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির হাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এ বেসামরিক পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ বছর ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধে একজন, শিল্পকলায় আটজন (অভিনয়, সঙ্গীত, আবৃত্তি, চারু ও চিত্রকলা), রাজনীতিতে দুইজন, শিক্ষায় একজন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান, সমাজ সেবায় একজন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান এবং সাংবাদিকতা, গবেষণা এবং ভাষা ও সাহিত্যে একজন করে পুরস্কার পেয়েছেন।

একুশে পদক বাংলাদেশের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেওয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা। মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একুশে পদক দেওয়া শুরু হয় ১৯৭৬ সালে।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে একটি আঠারো ক্যারেটের স্বর্ণপদক, এককালীন অর্থ (চেক) ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। ২০২২ সালে ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে মর্যাদাপূর্ণ একুশে পদক দেওয়া হয়।