আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডি’র ঘাটতি যেকোনো বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ডি’র অভাবে মানসিক অবসাদের শিকারও হতে পারেন আপনি। ভুগতে পারেন দুশ্চিন্তায়।
পিএলএস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সামরিক সদস্যের মধ্যে যাদের আত্মহত্যার প্রবণতা ছিল, ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের ফলে তা কমে গেছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর বিশাল একটি অংশের মেডিকেল রিপোর্টেও দেখা গেছে, যাদের ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়েছে, তাদের আত্মহত্যা বা আত্মক্ষতির ঝুঁকি অন্যদের থেকে কম। আত্মহত্যার প্রবণতা বা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ক্ষতি করার চিন্তা কমিয়ে দেয় ভিটামিন ডি। আর এই পুরো গবেষণাটিই ভিটামিন ডি’এর অভাবের সঙ্গে হতাশা বা মানসিক অসুস্থতার এক যোগসূত্র ফুটিয়ে তোলে।
আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন নতুন এই গবেষণা নিয় বেশ উচ্ছ্বসিত। তারা বলছে, এর ফলে বয়স্কদের মধ্যে আত্মক্ষতি ও আত্মহত্যা প্রতিরোধ করে আরও একটি সম্ভাব্য অতিরিক্ত উপায় তারা পেয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এক জরিপে দেখা গেছে, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় প্রবীণদের আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার শঙ্কা দেড় গুণ বেশি।
গবেষণাপত্রের লেখকেরা মানসিক হাসপাতালগুলোতে আত্মহত্যা-সংক্রান্ত প্রবণতায় অপেক্ষাকৃত নিরাপদ, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ওষুধ হিসেবে ভিটামিন ডি’র ট্রায়ালের প্রস্তাব রেখেছেন।
মানব শরীরে ভিটামিন ডি’র অভাব নানান স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যথা, হাড় ও পেশী দুর্বলতা, হৃদরোগ থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি, বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্বলতা, শৈশবে হাঁপানি, এমনকি ক্যানসারও হতে পারে।
এ ছাড়াও সূর্যের আলোয় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য আমাদের সঠিক খাবার খেতে হবে, যাতে রয়েছে এই মিনারেল। এ ছাড়া দুধ, বা দুগ্ধজাতীয় জিনিস খান বেশি করে। সঙ্গে খান মাছ, মাংস, ডিমের কুসুম। সঠিক আহারই সঠিক পুষ্টি দেয় আমাদের।
সূত্র : পিএলএস ওয়ান