হোয়াটসঅ্যাপে যেসব ভুলে হতে পারে জেল-জরিমানা
বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিদিন বিশ্বের কয়েকশ’ কোটি মানুষ ভার্চুয়াল যোগাযোগের জন্য অ্যাপটির ওপর ভরসা করেন। মেসেজ আদান-প্রদান ছাড়াও, অডিও-ভিডিও কলের সুবিধা রয়েছে অ্যাপটিতে।
হোয়াটসঅ্যাপের নানাবিধ সুবিধা থাকলেও এর কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। যা ভঙ্গ করলে আপনার জেল-জরিমানাও হতে পারে। হারাতে পারেন অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণও।
বহু সময়েই বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক ঢুকে পড়ে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে। সেইসব ভিডিও লিংক অনেক সময় দেখে কিংবা না দেখে আমরা ফরওয়ার্ডও করে দিই অন্য নম্বরে। তবে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ফরওয়ার্ডের অভ্যাস থাকলে সতর্ক হন।
বহু সময়েই অসৎব্যক্তি এবং প্রতারকেরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আমাদের মোবাইলে পাঠিয়ে দেয় বিভিন্ন ধরনের স্প্যাম লিংক। যেগুলোতে ক্লিক করে ফেললেই হ্যাক হয়ে যেতে পারে আপনার ফোন। লুঠ হয়ে যেতে পারে টাকা পয়সা থেকে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট।
এছাড়াও বিভিন্ন লিংকের মাধ্যমে পাওয়া নীল ছবি বা পর্নগ্রাফি ভিডিও ভুল করে যদি ফরওয়ার্ড করে থাকেন তাহলে কিন্তু পড়তে চলেছেন মহা ফ্যাসাদে। আর সেসব যদি হয় শিশু পর্নগ্রাফি ভিডিও, তাহলে তো কথাই নেই। এই কারণে জেল পর্যন্ত হতে পারে। কারণ, পর্নগ্রাফিক ভিডিও চালাচালি কিন্তু আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
এমন কোনো ভিডিও মেসেজ মোবাইলে এলে পুলিশে বিষয়টি জানান। প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করুন পুলিশের সাইবার শাখাতেও। কারণ এই বিষয়টি অবহেলা কিন্তু আপনার জন্য পরবর্তীকালে ভয়ঙ্কর হতে পারে। প্রয়োজন হলে ওই ধরনের বার্তাপ্রেরকের বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করতেও ভুলবেন না যেন।
শুধু পর্নগ্রাফিক ভিডিওই নয়, ফেক নিউজ বা গুজব ছড়ানোও কিন্তু আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সাবধান থাকুন এই বিষয়টি নিয়েও। এমন কী অন্য কারওর ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও তার অনুমতি ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করাও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই হোয়াটসঅ্যাপে ফরওয়ার্ড মেসেজ পাঠানোর সময় এই বিষয়গুলোর দিকে নজর দিতে ভুলবেন না।