স্বামীর মতো একই পরিণতি হলো বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট অঞ্জুর

স্বামীর মতো একই পরিণতি হলো বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট অঞ্জুর

নেপালের পোখারায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় চারজনের এখনও খোঁজ না মিললেও ধারণা করা হচ্ছে, সবাই প্রাণ হারিয়েছেন। উড়োজাহাজটি রোববার (১৬ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখারা যাচ্ছিল। অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। এতে যে দুই পাইলট মারা গেছেন তাদের একজন অঞ্জু খাতিওয়াদা।

ক্যাপ্টেন কমল কেসির সঙ্গে উড়োজাহাজ চালাচ্ছিলেন অঞ্জু। ২০০৬ সালের ১২ জুন উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েই প্রাণ হারান অঞ্জুর স্বামী দীপক পোখারেল। তিনি ছিলেন কো-পাইলট। ঘটনাচক্রে সেটিও ছিল এই ইয়েতি এয়ারলাইনসেরই একটি বিমান। সেটি বিধ্বস্ত হয়েছিল জুমলা বিমানবন্দরে। সেবার দীপকসহ প্রাণ হারান ১০ আরোহী।

স্বামীর মৃত্যুর পরই অঞ্জু পাইলট হবেন বলে স্থির করেন। এরপর পাইলট হওয়ার জন্য পড়াশোনা শুরু করেন অঞ্জু। পড়ার জন্য যান যুক্তরাষ্ট্রে। স্বামীর মৃত্যুর চার বছরের মাথায় তার পড়াশোনো শেষ হয়। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে নেপালে ফিরে কাজে যোগ দেন।

নেপালে ফিরে এটিআর মডেলের উড়োজাহাজ চালানোর মধ্য দিয়ে পেশাজীবন শুরু করেন অঞ্জু। প্রায় ১৭ বছর পর সেই এটিআর মডেলের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে প্রাণ হারাতে হলো তাকে। অঞ্জুর স্বামী দীপক প্রথমে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার চালাতেন। কিন্ত পরে ইয়েতি এয়ারলাইনসে পাইলট হিসেবে যোগ দেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লোকান্তরকে অঞ্জুর একজন আত্মীয় বলেন, পাইলট স্বামী ও স্ত্রীর পৃথক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর এমন কাকতালীয় ঘটনা বিরল।

নেপালের বিরাটনগর শহরে স্কুলে পড়তেন অঞ্জু। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতে যান। এর মধ্যে অঞ্জুর বিয়ে হয় দীপকের সঙ্গে। তাদের ২২ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। দীপকের মৃত্যুর পর সুভাষ কেসি নামে কাঠমাণ্ডুর এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন তিনি। অঞ্জু ও সুভাষ দম্পতির সাত বছরের একটি ছেলে আছে।