লেবাননের গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে হামাসের বৈঠক
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাইিনী স্থল অভিযানের মধ্যে লেবাননের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করেছে ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতিনিধি দল।
সোমবার বৈরুতে লেবাননের গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রতিনিধি দলটি।
লেবাননের সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, হামাস প্রতিনিধিদল গাজা উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়ে আব্বাস ইব্রাহিমকে অবহিত করেছে।
নিউজ এজেন্সি বলেছে, 'গাজায় স্থল আক্রমণের যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিরোধে হামাস প্রস্তুত বলে জানিয়েছে হামাসের প্রতিনিধি দল।'
এদিকে, গাজা উপকণ্ঠে দক্ষিণ প্রান্তে ইসরায়েলি ট্যাংক ঢুকে পড়েছে। এতে অবরুদ্ধ গাজার উত্তর থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গাজার দক্ষিণ প্রান্তের শহর জায়তুনে সোমবার ইসরায়েলের ট্যাংক দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
ইসরায়েল গাজায় স্থল আক্রমণ জোরদার করায় হামাসের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সোমবার ভোরে গাজায় ভয়ঙ্কর বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, তারা গত কয়েকদিন ধরে ৬০০টিও বেশি জঙ্গি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এই আক্রমণ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
এদিকে, ফিলিস্তিনের জেনিন শহরের গতকাল রাতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত ইসলামিক জিহাদের চার সদস্যের শেষকৃত্য হয়েছে। নিহতদের একজন জেনিন ব্রিগেডের প্রতিষ্ঠাতাও বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বাসিন্দারা বলছেন, জেনিন শরণার্থী শিবিরের কেন্দ্রস্থলে ইসরায়েলি বাহিনী ড্রোন হামলা চালায়। ড্রোনটি বাড়িতে আঘাত করে। এসময় ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দাবি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। আর আহত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত ইসরায়েলি ৪ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। অপরদিকে হামাসের হামলায় মারা গেছে ১ হাজার ৪০০'র বেশি ইসরায়েলি।
এরই মধ্যে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের অনেক টানেল ধ্বংস করার দাবি করেছে তারা। ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমাগত হামলায় অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য খাত ভেঙে পড়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধের অভাবে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। শয্যা খালি না থাকায় নতুন রোগী নিতে পারছে না হাসপাতালগুলো। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে গিয়েও ইসরায়েলি হামলার শিকার হচ্ছেন বাস্তুচ্যুত লোকজন।