রোজার আগেই ইফতার সামগ্রীর দাম উর্ধ্বমুখী
রহমতের মাস পবিত্র রমজানে বিশ্বের পশ্চিমা মুসলিম দেশগুলোতে নিত্যপন্যের দাম কমিয়ে দেয়। আর বাংলাদেশে রমজান আসলে নিত্যপন্যের দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়ে যায়। এমতবস্থায় রোজায় নিত্যপণ্যের উর্ধ্বমুখী চাকার চাপে পিষ্ঠ হতে হয় ভোক্তাদের। যা পৃথিবীর অন্য কোনো রাষ্ট্রে নেই। এমন অভিযোগ ভোক্তাদের। ভোক্তা জানায়, শুধু চাল, তেল, মাংসই নয়, মুড়ি, গুড়, চিড়ার মতো ইফতার সামগ্রীর বাজারও চড়া। এক মাসে এসব খাবারের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত। এ জন্য উৎপাদন খরচ বাড়ার অযুহাত দিচ্ছে বিক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে তদারকি না থাকার প্রভাব।
এদিকে আর একদিন পরই রোজা শুরু। রাজধানীর হাতিরপুল ও কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা যায়, অন্য সময় চিড়া, মুড়ি, গুড়ের দোকানে ভিড় না থাকলেও এখন অনেকটা দাম বেড়েছে। এক থেকে দেড় মাস আগে প্রতি কেজি আখের গুড় বিক্রি হতো ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজিতে, এখন তা ১৫০ টাকা। খেজুরের গুড় বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
এছাড়া প্রতি কেজি ( খোলা )মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। প্যাকেট মুড়ির দাম আরও বেশি। চিড়ার দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। ক্রেতাদের অভিযোগ, রোজায় চাহিদা বাড়ায় সুযোগ নিচ্ছে বিক্রেতারা। চাহিদা বেড়েছে পানীয় ও খেজুরের। ৩৫০ থেকে ২ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এক কেজি খেজুর। এ ক্ষেত্রে ডলার সংকটের অজুহাত দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে ছোলা, মটরডাল, বেসন, ইসুবগোলের ভুসি, তোকমা, পেপে, তরমুজ, বেগুনের দামও বেড়েছে। রোজার আগে আগে টমেটো, শশা, লেবুর দামও বেড়েছে। আর দাম বেড়ে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে।
এবিষয়ে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, রোজা সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। রোজায় কেউ কারসাজি করলে বিক্রেতার পাশাপাশি বাজার সমিতিকেও জবাবদিহি করা হবে।