রাজাপুরে পুলিশ সদস্যের গাছ কেটে নিল সাবেক ইউপি সদস্য
ঝালকাঠি প্রতিনিধি ॥ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর (বলাইবাড়ি) এলাকায় স্থানীয় ইউপি সদস্য কর্তৃক সাবেক পুলিশ সদস্যের ক্রয়কৃত দখলীয় জমির গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অর্ধশতাধিক গাছ কেটেছে বলে থানায় অভিযোগ (নং-২২৩) দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো. নান্নু মিয়া। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সৈকত ইসলাম মামুনসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। রাজাপুর থানায় দেয়া অভিযোগে জানাযায়, ক্রয়সূত্রে মালিকানা নিয়ে ইউপি সদস্য মামুনের সাথে জমজিমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। ক্রয়সূত্রে উক্ত জমির মালিক হয়ে ২৪বছর যাবত ভোগ দখলে বিদ্যমান মো. নান্নু মিয়া। উক্ত সম্পত্তিতে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা রয়েছে। শনিবার সকাল ৭টার দিকে ইউপি সদস্য মো. সৈকত ইসলাম মামুন, ভাই মেহেদী হাসান রাজু, গাছ ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলামসহ আরো কয়েকজনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রায় লক্ষ টাকা মূল্যের ৭০-৮০টি মেহগনি গাছ কেটে নেয়। রাজাপুর থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাটা গাছ জব্দ করে। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো. নান্নু মিয়া জানান, ইউপি সদস্য মামুনের পিতা মাহবুবুল ইসলামের কাছ থেকে ১৯৯৯ সালের ২১জুন সাবকবলা দলিল মূলে ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে ভোগদখলে বিরাজমান আছি। রাজাপুর মৌজার জেএল নং ৪৭, বুজরত খতিয়ান নং-১৪২১২, এসএ দাগ নং-৬৩১১,৬৩৫২, বুজরত দাগ নং-১৬৫৮৭,১৬৫০৩ এর ৫৯ শতাংশ সম্পত্তি। এরপূর্বেও ২০২১ সালের ২৩মে সাতহাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির সৃজিত কলাগাছ কেটে ফেলে। তাতে বাধা দিলে গালিগালাজসহ খুন-জখমের হুমকি দেয়। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে এএসআই তুহিন সরেজমিন পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিলে ননজিআর মামলায় জামিন নেয় প্রতিপক্ষরা। ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মিমাংসার কথা বলে সময় ক্ষেপন করে আমাদের হয়রানি করছে। ইউপি সদস্য হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একের পর এক আমাদের ক্ষতি করেই যাচ্ছে।
ইউপি সদস্য মো. সৈকত ইসলাম মামুন মুঠোফোনে জানান, ওটা আমাদের পৈতৃক জমি। ওখানে আমরা ন্যায্য হিস্যা বুঝে পাইনি। তাই আমাদের জমির গাছ আমরাই কেটেছি। রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ নান্নু মিয়া একটি গাছ কাটার অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ জব্দ করা হয়েছে। পূজার চাপ কমলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।