মাদারীপুরে জরাজীর্ণ ঘরে চলছে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম
জাহিদ হাসান, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরে জরাজীর্ণ ঘরে চলছে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম। অফিস গুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে আছে। টিনের সেটের ঘর গুলো মরিচা পরে নষ্ট হয়ে গেছে চাল দিয়ে পরছে পানি। ঘটতে পারে যে কোন সময় বড় কোন দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করছে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তবে পোস্ট অফিস পরিদর্শক বলছেন পর্যায়েক্রমে সব পোস্ট অফিসের কাজই করা হবে।
মাদারীপুর জেলার পোস্ট অফিসের ভগ্নদশা দীর্ঘদিনের। পোস্ট অফিস গুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ন এসব পোস্ট অফিসের ভবন গুলো পুরনো হওয়ায় দেওয়াল গুলো ডেমেজ হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলেই ভিতরে গড়িয়ে পরছে পানি। টিন সেটের ঘড় গুলোর আরো বেহাল অবস্থা ঘড়ে নেই দরজা নেই জানালা। চালের টিন ছিদ্র হয়ে উকি দিচ্ছে আকাশ। বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পরছে পানি। এতে করে নষ্ট হচ্ছে সরকারি মুল্যবান নথিপত্র। আশির দশকের ঘরগুলো নির্মাণের পর থেকে সংস্কার না হওয়া প্রায় অকেজো হয়ে পরেছে। তবুুও প্রয়োজনের তাগিদে জরাজীর্ণ ভবনে অফিসের কার্যক্রম চলছে। একরকম প্রানের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন অফিস করছেন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অথচ প্রতিদিন এই অফিসের মাধ্যমে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চিঠিপত্র আদানপ্রদান করা হয়।
পোস্ট অফিসের সেবা নিতে আসে একজন বলেন, আমি প্রতি মাসে কুলপদ্দী পোস্ট অফিসে বিমার টাকা জমা দিতে আসি কিন্তু আমার ভয় হয় এই অফিসের যা অবস্থা একটু বৃষ্টি হলেই অফিসের ভিতরে বন্য বয়ে যায়। এতে তখন যদি আমাদের ডকুমেন্টস সব হারিয়ে যায় তাহলে তো আমার সব শেষ হয়ে যাবে।
কুলপদ্দী পোস্ট অফিসের পোস্টম্যান বাবুল মোল্লা জানায়, আমারা সব সময় একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকি। কখন কোন সময় সরকারি ডকুমেন্টস, পাবলিকের পার্সেল, বীমার কাগজপত্র চুরি হয়ে যায়। সরকারের জোর দাবি জানাচ্ছি এই পোস্ট অফিসটি অবিলম্বে সংস্কার অথবা নতুন ভবন করে দেওয়া হোক।
মাদারীপুর জেলা পোস্ট অফিস পরিদর্শক জিহাদুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাছে চাহিদা প্রদান করা হয়েছে। ১থেকে ৩বছরের মধ্যে কতগুলো পোস্ট অফিস সংস্কার করতে হবে, কতগুলো নতুন করতে হবে সেই তথ্য আমারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বরাদ্দ পাওয়া গেলে সংস্কার এবং নতুন ভবনের কাজ শুরু করা যাবে।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মারুফুর রশিদ খান বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত আছি সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে অল্প সময়ের ভিতরে অর্থ আসবে আর অর্থ আসলে কাজ শুরু হবে।