ভারতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে যা বললেন মমতাজ
প্রায় ১৫ বছর আগে শক্তি শঙ্কর বাগচীর করা মামলায় ফের বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ভারতের বহরমপুর আদালত। মূলত টাকা নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়া, প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় ৯ আগস্ট এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এ দিকে আদালত যেদিন এই আদেশ দেন, ওই সময়টায় কানাডায় একটি অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন মমতাজ। দেশে ফেরার দুই দিন পর বুধবার (১৬ আগস্ট) ভারতের আদালতের রায় নিয়ে মুখ খুলেছেন মমতাজ। নিজের ফেসবুক পেজে অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য দিয়েছেন এই সংগীতশিল্পী।
মমতাজের তার স্ট্যাটাসে লেখেন, এই কথা সত্য যে অনেক বছর আগে ভারতের বহরমপুর কোর্টে আমার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি একটা মিথ্যা বানোয়াট মামলা করেন, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাকে ভয় দেখিয়ে কিছু টাকা হাতিয়ে নেওয়া। একই সঙ্গে ওই ব্যক্তি ছাড়া আমি যেন কারও মাধ্যমে ভারতে কোনো কনসার্ট করতে না পারি।
শক্তি শঙ্কর বাগচী জানান, ২০০৪-২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনের জন্য আমার সঙ্গে মমতাজ বেগম লিখিতভাবে চুক্তিবদ্ধ হন। চুক্তি মোতাবেক ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ১৪ লাখ রুপিতে মুর্শিদাবাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য চুক্তিতে আবদ্ধ হন এবং অর্থও গ্রহণ করেন মমতাজ। কিন্তু অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি বলে জানিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন শক্তি শঙ্কর বাগচী।
তবে মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা জানিয়ে মমতাজ বলেন, কোনো ডকুমেন্ট ছাড়া ১৪ লাখ টাকা নেওয়ার একটি মিথ্যা মামলা সাজিয়েছেন শক্তি শঙ্কর বাগচী। যার কোনো প্রমাণ এই ১৪–১৫ বছরে আদালতে দাখিল করতে পারেননি।
এ দিকে ১২ আগস্ট দেশের এক গণমাধ্যমে আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শক্তি শঙ্কর বাগচী বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এই মামলা চলছে। আমিও এই মামলার শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। এই মামলায় আজ আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার সেদিনের ১৪ লাখ রুপি অগ্রিম নিয়ে অনুষ্ঠান না করায় বহু আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আমি ন্যায়বিচার চাই। আমার অগ্রিম অর্থ সুদসহ এবং মামলার সব খরচসহ আমার ১৫ বছরের হয়রানির ক্ষতিপূরণের টাকা চাই।
তিনি আরও বলেন, এই মামলায় লড়তে আমি ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েছি, আবেদন করেছি। আমি চাই, আমার এই দীর্ঘ ১৫ বছরের মামলা চালানোর খরচ এবং অগ্রিম প্রদত্ত অর্থসহ যাবতীয় ক্ষতিপূরণের টাকা। সেই সঙ্গে মমতাজ বেগমের এই প্রতারণা এবং চুক্তিভঙ্গের জন্য যথাযথ শাস্তি।