ভগ্নিপতির মারধরে ঢাবি কর্মচারীর মৃত্যুর অভিযোগ

ভগ্নিপতির মারধরে ঢাবি কর্মচারীর মৃত্যুর অভিযোগ

রাজধানীর শাহবাগে ছোট ভগ্নিপতির মারধরের জেরে বসন্ত কুমার দাস (৫২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বন বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন।

গতকাল শনিবার রাত সোয়া ২ টার দিকে শাহবাগে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর ঢাবির কলা ভবনের সামনে মারধরের পর বসন্ত কুমারকে উদ্দার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বসন্ত কুমার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা আটআনি বাজার এলাকার মৃত রঘুনাথ দাসের ছেলে। বর্তমানে ৩৩৫ গোলবাগ শাহজাহানপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। নিহতের ছোট ভাই হেমন্ত দাস এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

হেমন্ত দাস বলেন, ‘আমার বড় ভাই বসন্তকুমার দাস ঢাবিশ্বর বন বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। গতকাল রাতে শাহবাগে আমার ছোট ভগ্নিপতি শান্তি মন্ডলের সঙ্গে দাদার পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দাদাকে মারধর করে পালিয়ে যায় শান্তি মন্ডল। পরে আমার দাদা দৌড়ে কলভবনের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের কাছে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ আমার বৌদিকে ফোন করে দাদাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। গুরুতর আহত দাদাকে প্রথমে খিদমা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।