ব্লিনকেনের চীন সফর: সম্পর্কের বরফ কি গলতে শুরু করেছে?
বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার শীতল সম্পর্ক সম্প্রতি নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। সেই শীতল সম্পর্ককে উষ্ণ করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের চীন সফরটা হওয়ার কথা ছিল আরো কয়েক মাস আগেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনা গোয়েন্দা বেলুন ঢুকে পড়ায় সেই সফর স্থগিত হয়। শেষ পর্যন্ত চীন সফরে গেছেন ব্লিনকেন। এরইমধ্যে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকও করেছেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে গঠনমূলক ও সরল আলোচনা করেছেন ব্লিনকেন। বেইজিংয়ের বৈঠকে ব্লিনকেন কূটনৈতিক যোগাযোগের চ্যানেল সব সময় খোলা রাখার ওপর জোরারোপ করেছেন।
গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম কোনো শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা চীন সফরে গেলেন। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনের সাথে সম্পর্ক স্থিতিশীল করাই ব্লিনকেনের এই সফরের প্রধান উদ্দেশ্য।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং ব্লিনকেনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে স্থিতিশীল, অনুমানযোগ্য ও গঠনমূলক সম্পর্ক রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ চীন। জানা গেছে, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন সফরের কথাও দিয়েছেন।
তবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সবচেয়ে ঝুঁকিতে ফেলছে তাইওয়ান ইস্যু। তার দাবি, তাইওয়ান চীনের অন্যতম আগ্রহের জায়গা। যদিও যুক্তরাষ্ট্র সবসময় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাইওয়ানের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সকালে ব্লিনকেনকে স্বাগত জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই সফরের দুই দিনে নানা বিষয়ে ব্লিনকেন বৈঠক করবেন। যদিও আপাতত চীন যুক্তরাষ্ট্র কেউই খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করছে না। তবে ইউক্রেনযুদ্ধ, প্রযুক্তিগত সংঘাতসহ কিছু বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।