বেলারুশে হামলার অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধেই আগ্রাসন: পোলান্ডকে কঠোর হুঁশিয়ারি পুতিনের

বেলারুশে হামলার অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধেই আগ্রাসন: পোলান্ডকে কঠোর হুঁশিয়ারি পুতিনের

পোল্যান্ড যদি বেলারুশে হামলা চালায়, তা হবে রাশিয়ার বিরুদ্ধেই আগ্রাসন। এমন হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ঠেকানো হবে এই আক্রমণ। ক্রেমলিনের নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক সভায় তিনি বলেন, আগুন নিয়ে খেলছে পশ্চিমারা। পুতিনের হুমকির পরই শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা, তবে কি রাশিয়ার নতুন টার্গেট পোল্যান্ড? খবর বিবিসির।

গত কিছুদিন ধরেই পূর্বাঞ্চলে সামরিক শক্তিমত্তা বাড়াচ্ছে পোল্যান্ড। বেলারুশ সীমান্তে জড়ো করছে সেনা ও অস্ত্র সরঞ্জাম। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকেই পোল্যান্ডের সাথে এক ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয় রাশিয়ার। কিয়েভকে অস্ত্র দেয়ার পাশাপাশি শরণার্থীদেরও আশ্রয় দেয় দেশটি।

ক্রেমলিনের দাবি, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে লড়াইয়ের জন্য পোলিশ-লিথুয়ানিয়ান ইউনিট গঠন করা হয়েছে। বেলারুশকে ঘিরে ওয়ারশ’র সামরিক তৎপরতা বেড়ে চলায় সতর্ক করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন বেলারুশে হামলা হলে চুপ থাকবে না মস্কো।

পুতিন বলেন, পোলিশ নেতারা হয়তো ন্যাটোর ছায়ায় জোট করে সরাসরি জড়াতে চাইছে ইউক্রেন যুদ্ধে। দেশটির কিছু অংশ নিজেদের দখলে নিতে চায় তারা। এটাতো জানা কথা, বেলারুশের ভূমিও নিজেদের অংশ বানানোর স্বপ্ন দেখে তারা। তাদের বলবো, বেলারুশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অর্থ রুশ ফেডারেশনের বিরুদ্ধেই আগ্রাসন। কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।

এ সময় পোল্যান্ডের নেতাদের পুতিন মনে করিয়ে দেন, সোভিয়েত নেতা স্টালিনের দেয়া উপহার দেশটির পশ্চিমাঞ্চল। তাই ওয়ারশ’কে উচ্চাভিলাষী না হওয়ার পরামর্শ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ১৯৩৯ সালে পশ্চিমা মিত্ররা পোল্যান্ডকে ফেলে গিয়েছিল। জার্মানির যুদ্ধ মেশিনে ছুঁড়ে ফেলে

স্বাধীনতা খর্ব হয়েছিল তাদের। বরং সোভিয়েত ইউনিয়নকে তাদের ধন্যবাদ দেয়া উচিত। যোসেফ স্টালিনের পদক্ষেপেই পোল্যান্ড নিজেদের ভূখণ্ড পেয়েছে। ওয়ারশের বন্ধুরা কি তারা ভুলে গেছে?

এ দিকে, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে বেলারুশও। কিছুদিন ধরেই রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা দল ওয়াগনার বাহিনী প্রশিক্ষণ দিচ্ছে দেশটির সেনাদের।