বৃষ্টিতে কাঁচা ইট নষ্ট; ক্ষতির মুখে কালকিনির ইটভাটার মালিকেরা

বৃষ্টিতে কাঁচা ইট নষ্ট; ক্ষতির মুখে কালকিনির ইটভাটার মালিকেরা

মোঃ জাফরুল হাসান, কালকিনি: চৈত্রের বৃষ্টিতে মাদারীপরের কালকিনি উপজেলায় কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পরেছেন ইটভাটার মালিকেরা। এ উপজেলায় ৬টি ইটভাটা প্রায় কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মালিকেরা। তবে আগাম এই বৃষ্টির কারনে চলতি বছরে লোকসানের মুখে পড়বেন ইট ব্যবসায়ীরা। আজ বুধবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন ভাটায় দেখা গেছে এ চিত্র। 

উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে ভাটার কাঁচা ইট ভিজে গলে কাঁদা হয়ে গেছে। ভাটায় কিছু কাঁচা ইট পলিথিন দিয়ে ঢেকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হলেও বৃষ্টির সাথে শিলার কারণে সেগুলোর ক্ষতি হয়েছে। পোড়ানোর জন্য চুল্লিতে সাজানো ইটও গলে গেছে। এতে করে উপজেলায় ৬টি ইটভাটা প্রায় কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আগাম এই বৃষ্টির কারনে চলতি বছরে লোকসানের মুখে পড়বেন বলে ধারনা করেছেন ইট ব্যবসায়ীরা। 

ইটভাটা মালিক সমিতির সদস্যরা বলছেন, উপজেলায় বর্তমানে পরিবেশবান্ধব জিগজ্যাগ পদ্ধতি ও স্থায়ী চিমনির মোট ৬ টি ইটভাটা রয়েছে। প্রতিটি ভাটায় ৫ থেকে ৬ লাখ পর্যন্ত কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট হওয়া এসব কাঁচা ইটের মাটি সরিয়ে নিয়ে আবারও নতুন করে ইট তৈরি করতে হবে। এতে বাড়তি শ্রমিক খরচ ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে আকার অনুযায়ী ভাটাগুলোর প্রতিটির ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতি হবে।

উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকার রুপসী বাংলা ব্রিক্স এর মালিক মো. রিফাত শিকাদার জানান, শিলাবৃষ্টিতে তাঁর ভাটায় ৬ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিটি কাঁচা ইট তৈরি করতে পাঁচ থেকে ছয় টাকা খরচ হয়। তবে কাঁচা ইটের অভাবে এখন ভাটার উৎপাদন বন্ধ রাখতে হবে। নতুন করে উৎপাদনে যেতে ১০ দিনের বেশি সময় লাগবে। হঠাৎ করে এই বৃষ্টিপাত হওয়ায় প্রত্যেক ভাটার মালিকের যে লোকসান হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তিনি আরো জানান, একদিকে কয়লা সংকটে দ্বিগুন দামে কয়লা আমদানি অপরদিকে এই আগাম বৃষ্টি। সব মিলিয়ে এই উপজেলার ৬টি ভাটায় প্রায় কোটি টাকার যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে কষ্ট হবে। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিংকি সাহা বলেন, বৃষ্টির সময় ইট রক্ষার জন্য ভাটার মালিকদের সতর্ক থাকতে হবে।