বরিশালে পরীক্ষার হল থেকে সাংবাদিকের মোবাইল চুরি, সেই প্রতারকের ৬ মাসের কারাদন্ড

বরিশালে পরীক্ষার হল থেকে সাংবাদিকের মোবাইল চুরি, সেই প্রতারকের ৬ মাসের কারাদন্ড

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে বরিশাল বিএম কলেজে মাস্টার্স পরীক্ষার হল থেকে সাংবাদিক রাকিব হোসেনের মোবাইল চুরি করে নিয়ে যাওয়া রঞ্জন রায় (৩৫) নামের এক প্রতারককে ফরিদপুরে আটক করা হয়েছে। ফরিদপুরেও একই পন্থা অবলম্বন করে মোবাইল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন রঞ্জন।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে এলএলবি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রতারণার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। পরে দুপুরের দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয় ওই যুবককে।

কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার গয়ারী গ্রামের স্বপন কুমার রায়ের ছেলে রঞ্জন রায়। অপরদিকে সাংবাদিক রাকিব হোসেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘বরিশাল ক্রাইম নিউজ’ পত্রিকায় যুগ্ম বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

সাংবাদিক রাকিব হোসেন জানান- বেশকিছু দিন আগে মাস্টার্স পরীক্ষা দিতে বরিশাল বিএম কলেজ যান তিনি। পরীক্ষা চলাকালিন সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে পরীক্ষার হলে আসেন রঞ্জন রায়। এরপর পরীক্ষা পরিদর্শনের নামে শিক্ষার্থীদের মোবাইল রাখা বেঞ্চের পাশে গিয়ে দাড়ান। হঠাৎ সুযোগ বুঝে তার (রাকিব) ব্যবহৃত মোবাইলটি হাতে নিয়ে এদিক সেদিক লক্ষ করে চলে যায় প্রতারকে রঞ্জন রায়। রাকিব তাৎক্ষনিক বিষয়টি হলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষককে জানান। শিক্ষক তাকে উত্তেজিত না হয়ে তাকে পরীক্ষা দিতে বলেন। পরে পরীক্ষা শেষে রাকিব জানতে পারেন রঞ্জন রায় ভূয়া পরিচয় দিয়ে পরীক্ষা হলে ঢুকে তার মোবাইলটি চুরি করে নিয়ে গেছে।

এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান সাংবাদিক রাকিব।

অপরদিকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ সুত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে রাজেন্দ্র কলেজে এলএলবি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ওই যুবক নিজেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন হল পরিদর্শন করতে চান। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করে জানা যায় তিনি ভুয়া ও প্রতারক।

এ বিষয়ে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসীম কুমার সাহা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূয়া কর্মকর্তা পরিচয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজে গিয়ে প্রতারণা করে আসছে সে। আমরা তাকে ভূয়া শনাক্ত করার পর জেলা প্রশাসনকে জানাই। পরে জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।