‘প্রতিপক্ষকে অলআউট করতে ১৩-১৪টি সুযোগ লাগে আমাদের; অন্যদের মাত্র ৯’

‘প্রতিপক্ষকে অলআউট করতে ১৩-১৪টি সুযোগ লাগে আমাদের; অন্যদের মাত্র ৯’

তীরে এসে তরী ডোবার হতাশায় পুড়ছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে প্রথম কোনো টেস্ট জয়ের খুব কাছে গিয়েও ফলাফল নিজেদের অনুকূলে আনতে পারেনি টাইগাররা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দিয়েছিলেন মুমিনুল হক। দিনশেষে সেটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে বড় এক প্রভাবক। তবে বাজে ফিল্ডিং বাংলাদেশের জন্য নতুন কোনো ঘটনা নয়। ম্যাচের পর সাকিবও বলেছেন, প্রতিপক্ষকে অলআউট করতে আমাদের লেগে যায় ১৩-১৪টি সুযোগ। আর অন্যরা ৯টি সুযোগেই তুলে নেয় ১০ উইকেট।

সাকিব আল হাসান বলেন, এভাবে হারা হতাশাজনক। আমরা যেসব সুযোগ মিস করেছি সেগুলো অন্য দল করে না। আর সুযোগ কাজে লাগাতে পারা এবং না পারাই ব্যবধান তৈরি করে দেয়। ৩১৪ না, ভারতকে প্রথম ইনিংসে আড়াইশো রানের মধ্যেই অলআউট করতে পারতাম। দ্বিতীয় ইনিংসেও আমাদের সামনে সুযোগ এসেছিল। কিন্তু এটা ক্রিকেটেরই অংশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে আমাদের ফিল্ডিং ভালো ছিল। কিন্তু টেস্টে ততটা ভালো হয়নি। এর কারণ সম্ভবত মনোসংযোগ ও ফিটনেসের অভাব।

বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক আরও বলেন, কীভাবে লম্বা সংস্করণের ক্রিকেটে ভুল না করে মনোসংযোগ ধরে রাখা যায়, তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। অন্যান্য দল এত সুযোগ দেয় না। আমরা সহজ ক্যাচও মিস করি। প্রতিপক্ষের দশ উইকেট নিতে আমাদের বোলারদের ১৩-১৪টি সুযোগ তৈরি করতে হয়। আর অন্যান্য দল ৯টি সুযোগ সৃষ্টি করেই প্রতিপক্ষের দশ উইকেট তুলে ফেলে।

ম্যাচ শেষে সাকিব আরও বলেন, এখানে ৩ উইকেটে পরাজয় বেশ স্বাভাবিক ঘটনা। হ্যাটট্রিকও হয়ে যেতে পারতো। ব্যাট করার জন্য উইকেট খুব সহজ ছিল না। আমি মনে করি, অশ্বিন ও আইয়ার দারুণ খেলেছে। তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। আমরা জয়ের জন্য সকলভাবেই চেষ্টা করেছি। কিন্তু দিনশেষে কিছুটা ঘাটতি রয়েই গেলো।

বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, ৭৪-৭৫ রানের মধ্যে প্রতিপক্ষের ৭ উইকেট ফেলে দিলে আপনি জয়ের কথা ভাবতেই পারেন। ভারতের দরকার ছিল ৭১ রান, আর আমাদের ১টি মাত্র উইকেট। কী ভুল হয়েছে তা বলা কঠিন। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। হয়তো আমরা আরও ভালো বোলিং করতে পারতাম, এরকম উইকেটে আরও সুযোগ সৃষ্টি করতে পারতাম। তবে, পুরো টেস্ট জুড়ে সবাই যেভাবে লড়েছে তাতে আমি সন্তুষ্ট।