পুলিশের সমালোচনা করলেন হিরো আলম, চান পুনর্নির্বাচন
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি দেন তিনি।
সিইসিকে লেখা চিঠিতে হিরো আলম বলেন, নির্বাচনের দিন ই-মেইলে আপনাকে অবহিত করেছিলাম, ভোট গ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে আমার তালিকাভুক্ত মনোনীত প্রায় ৮৮ জন এজেন্টকে ১৯টি ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে ব্যাপক জাল ভোট দেয়া হয়েছে। বিকেল ৩টায় বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ পরিদর্শনে গেলে সরকারদলীয় ক্যাডার দ্বারা আমার ওপরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা চালায়, যা দেশ ও বিদেশের কোটি কোটি মানুষ মিডিয়ার মাধ্যমে দেখেছে। ব্যাপক জাল ভোট ও ভোট গণনায় অনিয়ম নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাই আমি মনে করি এই নির্বাচন বিধিসম্মত হয়নি।
চিঠি দেয়ার পর সাংবাদিকদের হিরো আলম বলেন, আজকে আপিল করলাম। এখন আপিলের শুনানির অপেক্ষায়। মন্ত্রিপরিষদ ও স্পিকারকে অনুরোধ করবো আরাফাত ভাই যাতে শপথগ্রহণ করতে না পারেন। ফলাফলটা আগে দেখবেন।
দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নাই উল্লেখ করে হিরো আলম বলেন, এই সরকারের অধীনে তিনটা নির্বাচন করলাম। বগুড়ায় ও ঢাকায় মার খেলাম। তাহলে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে আশা করবো?
এ সময় পুলিশেরও সমালোচনা করেন হিরো আলম। বললেন, কমিশনার ফারুক স্যার যে কথাটা বলেছেন তা খুবই দুঃখজনক, লজ্জাজনক। তার লজ্জা থাকলে এই কথা বলতেন না। কারণ একটাই, উনি বলেছেন আমি নাকি একই কেন্দ্রে দুইবার গেছি। ভিডিও ফুটেজগুলো দেখবেন আমি ওই কেন্দ্রে দুইবার গেছি কি না। একবারই গিয়েছিলাম।
এর আগে গতকাল শনিবার হিরো আলমকে নিরাপত্তা দিতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, প্রার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের এবং আমরা সক্ষম ছিলাম। হিরো আলম যখন সকালে ওই কেন্দ্রে ঘুরে গেছেন তখন তাকে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। কিন্তু পরে তিনি ওই কেন্দ্রে এসেছেন পুলিশকে না জানিয়ে।
এ প্রসঙ্গে হিরো আলম আরও বলেন, উনারা বলেছেন নিরাপত্তা ভেতরে (ভোটকেন্দ্রের ভেতরে) দেবেন, বাইরে দেবেন না। এটা ভুল ধারণা। কারণ, সারা বাংলাদেশে পুলিশ নিরাপত্তা দেবে, এটাই তাদের কর্তব্য।