পুরো সপ্তাহ মসজিদুল হারামে নামাজ পড়াবেন ২ ইমাম

পুরো সপ্তাহ মসজিদুল হারামে নামাজ পড়াবেন ২ ইমাম

সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত পবিত্র মসজিদুল হারামে পুরো সপ্তাহে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াবেন দুইজন ইমাম। আগামী শনিবার পর্যন্ত তারা নামাজ পড়াবেন। দুই ইমামের একজন হলেন শায়খ বান্দার বালিলাহ, তিনি রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজের ইমামতি করবেন। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার মসজিদুল হারামের সাধারণ মুসল্লি ও ওমরা পালনকারীদের ইমামতি করবেন শায়খ মাহের মুআইকিলি।

শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী বিষয়ক ওয়েব পোর্টাল হারামাইন শরিফাইন। চমৎকার কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াতের জন্য বিশ্বব্যাপী শায়খ ড. বানদার বালিলাহর সুনাম রয়েছে। অসাধারণ চেহারা আর বাচনভঙ্গির দরুণ তিনি বেশ জনপ্রিয়।

মসজিদে হারামের এই ইমাম ও খতিবের পুরো নাম বানদার ইবনে আবদুল আজিজ ইবনে সিরাজ ইবনে আবদুল মালিক বালিলাহ। ১৩৯৫ হিজরির ৫ জুমাদাল উলা তিনি পবিত্র মক্কার এক সম্ভ্রান্ত ও অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ করেন মক্কাতেই।

১৪৩৩ হিজরিতে সৌদির ধর্মমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সরকারি ইমাম ও খতিব হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৪৩৪ হিজরিতে পবিত্র কাবার মসজিদে হারামে তারাবির ইমাম হিসেবে নিয়োগ পেয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একই বছরের জিলহজের ৪ তারিখে স্থায়ী ইমাম হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর তিনি মসজিদে হারামের খতিব হিসেবে নিয়োগ পান।

মসজিদুল হারামের অপর ইমাম শায়খ মাহের মুআইকিলিও তার সুললিত কণ্ঠস্বরের জন্য জনপ্রিয়। ১৯৬৯ সালে মক্কা নগরীতে তার জন্ম। তিনি এর আগে মক্কা ও মদিনার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ছিলেন।

তিনি উম্মুল কোরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট সম্পন্ন করেন। মক্কার সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মাধ্যমে তার পেশাগত জীবন শুরু। ২০০৬ সালে মসজিদে নববীতে ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। ২০০৭ সালে তিনি মসজিদে হারামে ইমামতির দায়িত্ব পান। ২০১৬ সালে বাদশা সালমানের এক রাজকীয় আদেশে তাকে মসজিদুল হারামের খতিব হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

মসজিদুল হারামে নামাজ আদায়ের বিশেষ সওয়াব রয়েছে।  হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘অন্যান্য মসজিদের নামাজেরর তুলনায় মসজিদুল হারামের নামাজ এক লক্ষ গুণ উত্তম।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৪০৬)

আরেক হাদিসে হজরত ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমার এ মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম।’-(বুখারী : ১১৯০; মুসলিম : ১৩৯৪)