নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে নতুন আরও দুটি রাজনৈতিক দল

নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে নতুন আরও দুটি রাজনৈতিক দল

নিবন্ধনের জন্য নতুন দুটি রাজনৈতিক দলকে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দল দুটি হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। সোমবার (১৭ জুলাই) এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে কোনও দাবি আপত্তি থাকলে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন দেবে ইসি।

রবিবার (১৬ জুলাই) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান।

সচিব বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য ৯৩টি দল আবেদন করেছিল। সব তথ্য-উপাত্ত যাচাই ও বিশ্লেষণ শেষে কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আগামীকাল (১৭ জুলাই) দুটি রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সাধারণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আগামী ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে কারও কোনও আপত্তি আছে কিনা, তা শোনা হবে। এরপর আপত্তি নিষ্পত্তি সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ধাপে ধাপে রাজনৈতিক দলগুলোর তথ্য যাচাই করেছি। তাদের মাঠ পর্যায়ে যেসব অফিস থাকার কথা, কমিটি ও জনবল থাকার কথা- এগুলো সব আমরা একবার যাচাই করেছি। পরে আবার যাচাই করে যেভাবে পাওয়া গেছে, তার আলোকে কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ দুটো পার্টির ক্ষেত্রে আমাদের আইনজীবীরা যেসব জেলা-উপজেলা এবং কেন্দ্রীয় কমিটি থাকার কথা, সেগুলো যথাযথ পাওয়াতে এ দুটোর বিষয়ে এখন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। সেই গণবিজ্ঞপ্তির পরে মূলত চূড়ান্ত হবে নিবন্ধনের বিষয়টি।’

এ দুটো দল প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘তারা বিজ্ঞপ্তির জন্য চূড়ান্ত। তবে এ দুটি দল নিবন্ধন পাবে কিনা, তা এখনই বলতে পারবো না। বিজ্ঞপ্তির পরে যদি কোনও আপত্তি আসে, তাহলে শুনানি হতে পারে। তারপর সিদ্ধান্ত।’

বাকি ১০টি দলের বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্তের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আবেদন তাদের যথাযথ ও মাঠপর্যায়ে যাচাই শেষে প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে তারা যে কাগজপত্র দাখিল করেছেন, তার সঙ্গে মাঠের তথ্যের গরমিল পাওয়া গেছে।’

২০২২ সালের মে মাসে নতুন দলের নিবন্ধন আবেদন চায় ইসি। তিন মাসের সময় দিলেও তাতে সাড়া না পেয়ে অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।

নির্ধারিত সময়ে ৯৩টি নতুন দল নিবন্ধন পেতে আবেদন করে। এরমধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে ঝরে পড়ে ৮৭টি আবেদন, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে ১২টি দল। সরেজমিন যে ১২টি দলের তথ্য যাচাই হয়, সেগুলো হলো—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি- বিএসপি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনোরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।

ইসির সর্বশেষ সিদ্ধান্তে ১২টি দলের মধ্যে দুটি প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হয়েছে।