নতুন ড্রোন উন্মোচন ইরানের, ইসরায়েলে আঘাত হানতে পারবে বলে দাবি

নতুন ড্রোন উন্মোচন ইরানের, ইসরায়েলে আঘাত হানতে পারবে বলে দাবি

ইরানে যে হাত আগ্রাসন চালাবে, সে হাত কেটে ফেলা হবে। মোহাজের-টেন নামের নতুন ড্রোন উন্মোচন করে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি। নতুন এই ড্রোন দেশটির তৈরি আগের ড্রোনগুলোর চেয়ে বেশ উন্নত অস্ত্র বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন। দাবি করা হয়, আঘাত হানতে পারবে ইসরায়েলের ভূখণ্ডেও। খবর রয়টার্স ও এপির।

তেহরানের দাবি, নতুন ড্রোনের সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের এমকিউ-নাইন রিপারের অনুরূপ। মোহাজের-টেন নামের যুদ্ধাস্ত্রটি ২৪ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে সক্ষম, পাড়ি দিতে পারে দুই হাজার কিলোমিটার, আকাশে থাকতে পারে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত।

নতুন এই সমরাস্ত্র ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানতে পারে। অত্যাধুনিক নজরদারির ব্যবস্থাও রয়েছে এতে। মানুষবিহীন আকাশযানটি ৩০০ কেজি পর্যন্ত বিস্ফোরক বহনে সক্ষম।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সামরিক শিল্প দিবসে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির উপস্থিতিতে নতুন ড্রোন উন্মোচন করে তেহরান। এ সময় শত্রুদের যেকোনো আঘাত প্রতিহতের হুঁশিয়ারি দেন রইসি। ড্রোনের ভিডিও প্রকাশের সময় হিব্রু ও ফার্সি ভাষায় দেয়া হয় কড়া বার্তা।

ইব্রাহিম রইসি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসনে জড়িত যেকোনো হাত আমাদের দক্ষ বাহিনী দ্বারা কেটে ফেলা হবে। দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা শিল্পে যে অগ্রগতি হয়েছে তা এই অঞ্চল ও বিশ্বের অনেক দেশেরই ইরানের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। এখন আমরা উৎপাদনশীল দেশে পরিণত হওয়ায় অন্যরা সমীহ করে।

মোহাজের শব্দের অর্থ অভিবাসী। ১৯৮৫ সাল থেকে এই নামে ড্রোন বানাচ্ছে ইরান। এই সিরিজেরই আরেক আলোচিত ড্রোন মোহাজের-সিক্স। শহিদ ড্রোনের পাশপাশি ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে মোহাজের সিক্স সরবরাহের অভিযোগও রয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে।