টাঙ্গাইলে খাদিজা হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

টাঙ্গাইলে খাদিজা হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

টাঙ্গাইলে খাদিজা আক্তার (২৩) নামের এক গৃহবধূ হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাশেদকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাভার আমতলীর মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার রাশেদুল ইসলাম টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের নলখোলা এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

বৃহস্পতিবার র‌্যাব-১৪ সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের কোম্পানি অধিনায়ক রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৪ ও এবং র‌্যাব-১ এর যৌথ একটি দল অভিযান চালিয়ে খাদিজা হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাশেদকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর থেকে রাশেদ পলাতক ছিলেন।

খাদিজা আক্তার ও রাশেদ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে টাঙ্গাইল শহরের বটতলা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। হত্যাকাণ্ডের পর তাদের বিয়ের বিষয়টি খাদিজা আক্তারের পরিবারের লোকজন জানতে পারেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর খাদিজা আক্তারের কোনো খোঁজ-খবর না পেয়ে পরিবারের লোকজন বাসায় গিয়ে রুমের দরজা তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। পরে পরিবারের লোকজন ও বাসার মালিকসহ তালা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। ঘরে ঢুকে তারা খাদিজা আক্তারকে খাটের ওপরে পড়ে থাকতে দেখেন।

এ সময় খাদিজার পায়ের গোড়ালির পিছনের রগ কাটা ছিল। ঘটনার পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর খাদিজা আক্তারের বড় ভাই ইমান আলী (২৫) বাদী হয়ে রাশেদুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মুন্নি আক্তার নামে তার এক স্ত্রী ও ৩ সন্তান রয়েছে। খাদিজা আক্তারের সম্পর্কের কথা এবং আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্বের স্ত্রীর সঙ্গে তার মনমালিন্য ছিল। সংসার করা অবস্থায় খাদিজা আক্তারও রাশেদের কাছে টাকা দাবি করেন। বার-বার টাকা দাবি করায় একপর্যায়ে রাশেদ উত্তেজিত হয়ে খাদিজাকে হত্যা করে বলে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদুল ইসলাম স্বীকার করেছে বলে র‌্যাব জানায়।