ঝালকাঠি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ক্যামেরায় কথা বলেননা
কামরুজ্জামান সুইট, ঝালকাঠিঃ- সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে কথা বলতে নারাজ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ঝালকাঠির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম।
তিনি ঝালকাঠিতে যোগদান করার পর থেকে তার দফতরের কোনো বিষয়ে গনমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়ে সাংবাদিকদের ক্যামেরা এড়িয়ে চলেন তিনি।
সম্প্রতি জেলার কয়েকটি সড়ক নির্মানে অনিয়মের ব্যাপারে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেল ও পত্রিকার প্রতিনিধিদেরকে বলেন, 'আমি টেলিভিশনে সাক্ষাতকার দেইনা। তবে মিডিয়ায় বক্তব্যের জন্য আমাদের অফিসের সহকারী প্রকৌশলী সুবির সরকারকে মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি সকল বিষয়ে গনমাধ্যমে বক্তব্য দেবেন।'
মঙ্গলবার ৭ নভেম্বর একাধিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা ঐ মুখপাত্র সুবির সরকারের কাছে সড়ক সংক্রান্ত সংবাদের বক্তব্য আনতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে লুকোচুরি খেলা শুরু করেন। অফিস থেকে প্রথমে বলা হয় সুবির সরকার রুমে নেই। কিন্তু সাংবাদিকরা অফিস সহায়কের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়েছেন তিনি দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে বসে আছেন। এরপর সেই কক্ষে সাংবাদিকরা প্রবেশ করলে একজন বলেন, 'সুবির সরকার এখানে নেই।' অথচ ঐ কক্ষেই সুবির সরকার নিজেকে লুকানোর চেষ্টা করেন।
সাংবাদিকরা তাকে দেখে ফেললে এবার সুবির সরকার নিজের পরিচয় স্বীকার করেন। কিন্তু সাক্ষাতকার দিতে তিনিও নারাজ। তার কাছে বক্তব্যের বিষয় বললে তিনি বলেন, 'আমি এই অফিসের মুখপাত্র নই, তাছাড়া মিডিয়াতে তথ্য দিতে হলে নির্বাহী প্রকৌশলীর অনুমতি লাগবে। তাই আমি মিডিয়ায় বক্তব্য দিতে পারবো না।' এরপর সাংবাদিকরা এলজিইডি অফিস ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান বলেন, 'সাংবাদিকদের জন্য যেকোন প্রতিবেদনেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বক্তব্যে প্রয়োজন হয়, সেখানে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী অথবা তার দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যদি কেউ বক্তব্য না দেন তাহলে জেলার উন্নয়ন ও অনিয়মের নিউজ করা কঠিন হবে।'
ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম এর সভাপতি আজমীর হোসেন তালুকদার বলেন, 'আমরা লক্ষ্য করছি ঝালকাঠি এলজিইডি'র বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী যোগদান করার পর হতেই তিনি সাংবাদিকদেরকে তার দফতরের কোনো তথ্য এবং নিজের সাক্ষাতকার দেননা। এটা অত্যন্ত দু:খজনক।
মিডিয়ায় তথ্য ও সাক্ষাৎকার না দিয়ে চাওয়ার কারন জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ঝালকাঠির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, 'ঝালকাঠি এলজিইডি কর্তৃপক্ষ মিডিয়ায় কোনো তথ্য ও সাক্ষাতকার দেবেনা। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত।'



