চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করতে ঘরোয়া করণীয়
চোখের নিচে ফুলে থাকার অনেক কারণ থাকতে পারে। অ্যালির্জি, মানসিক চাপ, অবসাদ কিংবা বংশগতি- কারণে চোখের নিচে ফুলে যেতে পারে। বিশেষ করে যাদের রাত জাগার অভ্যাস রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দেয় বেশি। এ ছাড়াও যারা দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রেও চোখের তলার অংশ ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। আরও দেখা দিতে পারে ডার্ক সার্কেলের সমস্যা।
দেহের যে কোনো অংশের ত্বকের তুলনায় চোখের নিচের ত্বক দশ গুন পাতলা হয়। তাই যত্নও নিতে হয় কোমলভাবে। এমনই কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতিতেই এই সমস্যা দূর করা সম্ভাব—
১. নিয়মিতভাবে যত্ন নিলে চোখের তলার ফোলাভাব দূর হয়ে যাবে। ঠান্ডা কিছু দিয়ে চোখের চারপাশে সেঁক দেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বরফ ব্যবহার করতে পারেন কিংবা ঠান্ডা পানিতে তুলা বা নরম কাপড় ভিজিয়ে চোখের উপর ঢাকা দিয়ে রাখতে পারেন। প্রতিদিন এভাবে চোখের উপর ঠান্ডা কিছু দিয়ে সেঁক দিলে ধীরে ধীরে ফোলাভাব কমে যাবে।
২. চোখের চারপাশের ফোলাভাব কমাতে ব্যবহার করতে পারেন টি-ব্যাগ। চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ফলে ত্বকের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন ভালোভাবে হয়। চোখের চারপাশের ফোলা জায়গায় যখন টি-ব্যাগ লাগাবেন তখন খেয়াল রাখবেন যেন চোখের ভিতর কিছু ঢুকে না যায়। চোখ বন্ধ করে নেওয়াই ভালো। টি-ব্যাগ চোখের চারপাশের ফোলাভাব দূর করতে সাহায্য করে।
৩. চোখের চারপাশের ফোলা ভাব এবং ডার্ক সার্কেলের সমস্যা কমাতে কাজে লাগে শসা। গোল গোল করে শসা কেটে নিন। তারপর শসার টুকরো চোখের উপর দিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। টানা কয়েকদিন এভাবে যত্ন নিলে চোখের ফোলাভাব বা ডার্ক সার্কেলের সমস্যা কমে যাবে। প্রয়োজনে শসার রসও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তুলার মধ্যে রস ভিজিয়ে নিয়ে সেই তুলা চোখের উপর দিয়ে রাখতে হবে।
৪. শরীরে পানির ঘাটতি হলেও চোখের চারপাশের ফোলাভাব বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে পানি খাওয়া প্রয়োজন। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে চোখের চারপাশের ফোলাভাব দূর হবে।
৫. পর্যাপ্ত ঘুমও এই সমস্যা দূরতে সাহায্য করে। রাতের বেলায় সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। এজন্য সঠিক সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে।পর্যাপ্ত ঘুম হলে এমনিতেই চোখের চারপাশের ফোলাভাব এবং ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দূর হবে।