‘কেইন এলো- শিরোপা পালিয়ে গেল’

‘কেইন এলো- শিরোপা পালিয়ে গেল’

এ যেন সেই বিখ্যাত প্রবাদ- ‘অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়।’ টটেনহামে ২০ বছর কাটিয়েও কোনো শিরোপার দেখা পাননি হ্যারি কেইন। গতকাল শৈশবের ক্লাব ছেড়ে জার্মান পরাশক্তি বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেন ইংলিশ অধিনায়ক।

অনেকেই ভেবেছিলেন, ২০ বছরের দুঃখ এক দিনেই ভুলবেন কেইন। কারণ, গতকাল রাতেই ছিল জার্মান সুপার কাপ। লাইপজিগের বিপক্ষে বায়ার্নই ছিল ফেবারিট। কিন্তু সুপারকাপে ৩-০ ব্যবধানে হেরে গেছে বাভারিয়ানরা। বদলি নেমেও ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে পারেননি কেইন। ম্যাচ শেষে জার্মান পত্রিকা বিল্ডের শিরোনাম দেখলে ভালোবাসা নিয়ে বিখ্যাত সে প্রবাদের কথা মনে পড়তে বাধ্য- ‘কেইন এলো- শিরোপা পালিয়ে গেল!’

গতকাল নতুন ক্লাবের হয়ে ৬৩ মিনিটে মাঠে নেমেছেন কেইন। কিন্তু ততক্ষণে লাইপজিগ ২-০ গোলে এগিয়ে গেছে। প্রথমার্ধেই ২ গোল করেছেন স্প্যানিশ উইঙ্গার দানি ওলমো। কেইন নামার ৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ওলমো।

তিনটি গোলই রক্ষণের ভুলে হয়েছে। ম্যাচ শেষে তাই কোচ টমাস টুখেল আফসোস করলেন, ‘আমি ব্যাখ্যা করতে পারব না। কোনো বিভাগই যথেষ্ট করেনি। আমি জানি না কেন। আমাদের ফর্ম ও মানসিকতার সঙ্গে মাঠের পারফরম্যান্সের কোনো সম্পর্কই নেই। এটা ভালো না।’

নিজেদের রেকর্ড ভেঙে প্রথমবারের মতো ১০ কোটি ইউরোর মাইলফলক ছাড়িয়ে টটেনহামের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ করে হ্যারি কেইনকে কিনে এনেছে বায়ার্ন। তাঁকে ইংল্যান্ড ছাড়তে প্রলুব্ধ করার পেছনে ভালো সতীর্থ আর ট্রফির প্রলোভনকে কাজে লাগিয়েছে বায়ার্ন। প্রথম ম্যাচে অবশ্য এর কোনোটির দেখাই পাননি কেইন। এ কারণে হতাশ টুখেল, ‘ওর জন্য দুঃখ লাগছে। সে হয়তো মনে করছে, গত চার সপ্তাহ আমরা কোনো অনুশীলনই করিনি। আমরা যা পেতে চাই তার সঙ্গে আজকের পারফরম্যান্স মানায় না। খুবই তিক্ত এক সন্ধ্যা। আমি দুঃখিত।’