এইচএসসি ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন শুরু
২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে বুধবার। এ পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে যেসব পরীক্ষার্থী সন্তুষ্ট নয় তাদের ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। প্রতি পত্রের ফল পুনর্নিরীক্ষার জন্য আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা।
গতকাল বুধবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এইচএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, শুধুমাত্র টেলিটকের প্রিপেইড মোবাইল থেকেই ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। প্রথমে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিনটি অক্ষর লিখতে হবে (ঢাকা বোর্ডের ক্ষেত্রে Dha বরিশাল বোর্ডের ক্ষেত্রে Bar)। এরপর স্পেস দিয়ে রোল লিখে আবার স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করতে হবে। (উদাহারণ: RSC DHA 123456 174 লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।) একাধিক বিষয়ের উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণে কমা দিয়ে সাবজেক্ট কোড এসএমএস করতে হবে। যেমন- 174, 175, 176 ইত্যাদি।
এতে আরও জানানো হয়েছে, মেসেজ সেন্ড হলে টেলিটক থেকে পিন নম্বরসহ কত টাকা নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি ফিরতি এসএমএস আসবে। পিন নম্বরটি সংগ্রহ করতে হবে। এরপর এতে সম্মত হলে আবারও মেসেজ অপশনে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে ‘পিন নম্বর’ লিখে স্পেস দিয়ে নিজস্ব মোবাইল নম্বর (যেকোনো অপারেটর) লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। (উদাহরণ: RSC<>YES<>PIN-NUMBER<>MobileNumber লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রতি বিষয়ে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদনের জন্য ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্বিপত্র বিশিষ্ট বিষয়ে শুধু প্রথম পত্রের আবেদন করতে হবে। প্রথম পত্রের আবেদন করলে দ্বিতীয়পত্রের আবেদনও বিবেচিত হবে। দুই পত্রের জন্য ৩০০ টাকা ফি প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া ফল পুনর্নিরীক্ষণে কোনো ম্যানুয়াল আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
উল্লেখ্য, বুধবার বেলা সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এ ফলাফল তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এবার গড় পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২১ জন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৫৫ জন। এ ছাড়া বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৮৬ জন। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৭, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৯১ জন, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ০৬ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৩০ জন। সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৪০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৮৭১ জন। চট্টগ্রামে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৭০ জন। ময়মনসিংহে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ১৭৯ জন। যশোরে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭০৬ জন।