ইউএনওর অশালীন আচরণ খতিয়ে দেখছেন ডিসি
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণসহ হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে বিচার দাবি করেছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ (ডিসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগে রোববার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন একই উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গেল ২৯ নভেম্বর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ চন্দ্রগঞ্জ মাছ বাজারের বহুতল শেড নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ইউএনও ইমরান হোসেন ওই কাজ পরিদর্শনে যান। তখন ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বাজারের গণমিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন। ইউএনওর ফোন পেয়েই তিনি মাছ বাজার এলাকায় উপস্থিত হন। বাজার উন্নয়নের কাজ চেয়ারম্যানের দায়িত্বে হওয়ার কথা থাকলেও ইউএনও নিজ ইচ্ছামতো পছন্দনীয় ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেন। তখন ঠিকাদারকে দেওয়ার জন্য ইউএনও ১০ লাখ টাকার একটি চেক চেয়ারম্যানকে দেয়। ঠিকাদার সময়মত কাজ শুরু করেনি। এজন্য কাজের অগ্রগতি নেই বলে চেয়ারম্যানের দাবি। এতে প্রকাশ্যে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানকে অশালীন ভাষায় ইউএনও গালমন্দ করেন। এ সময় ইউএনও চেয়ারম্যানকে ‘লাথি মেরে খালে ফেলে দেব, তোর মতো এক চেয়ারম্যানকে বাড়ি পাঠিয়েছি, তোকেও পাঠাব, গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাব’ বলে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। ঘটনার সময় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুর রহমানসহ বাজারের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ইউএনওর নিয়োগ দেওয়া ঠিকাদার নানা অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করছে। নিম্নমানের কাজের আশঙ্কা করছেন চেয়ারম্যান। এমন পরিস্থিতিতে ইউএনওর অশালীন আচরণে মানসিক, শারীরিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত রয়েছেন জানিয়ে বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন।
এদিকে, ইউএনও ইমরান হোসেন সম্প্রতি সদরের পার্বতী নগর ইউনিয়ন পরিষদে দুইজন মেম্বারকে একই ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করেই বিতর্কিত হোন।
জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগটি সঠিক নয়। তবে জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে চেয়ারম্যান বাড়াবাড়ি করছে, দীর্ঘদিন ধরে তার কর্মকাণ্ড অসন্তোষজনক, উন্নয়ন কাজে অসহযোগিতা করছে বলে মন্তব্য করেন ডিসি।