আমরা কাউকে আলোচনার জন্য ডাকছি না: কাদের

আমরা কাউকে আলোচনার জন্য ডাকছি না: কাদের

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে কোনো আলোচনা হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা যা করি প্রকাশ্যে করি। গণতন্ত্র ব্যাকডোরের আলোচনা না, আলোচনা হলে প্রকাশ্যেই হবে। তবে সেই সুযোগ এখনও দেখছি না। আমরা কাউকে আলোচনার জন্য ডাকছি না।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আলোচনার জন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে ডাকা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সচিবালয়ে সোমবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে কোনো আলোচনা হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা যা করি প্রকাশ্যে করি। গণতন্ত্র ব্যাকডোরের আলোচনা না, আলোচনা হলে প্রকাশ্যেই হবে। তবে সেই সুযোগ এখনও দেখছি না। আমরা কাউকে আলোচনার জন্য ডাকছি না।’

জাতীয় নির্বাচনে কোনো দলের অংশ নেয়া না নেয়া নিয়ে এর আগেও এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সমানে রেখে এ ধরনের সংকট আমাদের দেশে নতুন নয়। কালো মেঘ ঘণীভূত হলেও তা কেটেও গেছে। আমি আশাবাদী মানুষ, আমি মনে করি এ সংকট কেটে যাবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র আছে, নির্বাচন আছে, সরকার আছে, বিরোধীদল আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেনি যার জন্য সংবিধান পরিবর্তন করে কোনো প্রকার বিকল্প প্রস্তাব কারো অনুকূলে তৈরি করতে হবে।

‘আমরা কোনো পরিস্থিতিতে সংবিধানের প্রশ্নে ছাড় দেব না। সংবিধানের মধ্যেই সমাধান খুঁজতে হবে। এর বাইরে কোনো প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করব না। পৃথীবির অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবে এখানেও হবে। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেয়া হবে। তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সব পরিচালিত হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে তারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন। সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচন করতে হবে সেই সংকটে আমরা পরিনি।’

বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলনের হুমকি দিলেও বাস্তবে তারা সফল হতে পারেনি বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘বিএনপির আন্দলন বাস্তবে যতো গর্জে ততোটা বর্ষে না। কারণ তারা ছিল একটি গণঅভ্যুত্থানে আশায়, সেখান থেকে নেমে এলো নীরব পদযাত্রা। এখন তারা সেখান থেকে মানবনন্ধনে নেমে এসেছে।’