আবারও কমলো তেলের দাম

আবারও কমলো তেলের দাম

যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ দুই ব্যাংকের পতন হওয়ার পর ডলারের মান কিছুটা নিম্নগামী হওয়ায় সোমবার খানিকটা চাঙা হয়েছিল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার; কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। দু’দিনের মধ্যেই ফের পুরনো মন্দাভাব শুরু হয়েছে তেলের বাজারে।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন সংস্থার বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার অপরিশোধিত তেলের প্রধান ব্র্যান্ড ব্রেন্ট ক্রুডের প্রতি ব্যারেল (১ ব্যারেল=১৫৯ লিটার) বিক্রি হয়েছে ৭৬ দশমিক ০১ ডলারে। আগের দিন মঙ্গলবারের চেয়ে ব্রেন্ট ক্রুডের ব্যারেলের দাম কমেছে ১ দশমিক ৪৪ ডলার বা শতকরা হিসেবে ১ দশমিক ৯ শতাংশ।

একই দিন জ্বালানি তেলের অপর ব্র্যান্ড ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৭১ ডলারে। দাম কমেছে এই তেলেরও, তবে তা ব্রেন্ট ক্রুডের তুলনায় কম। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, বুধবার প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই বিক্রি হয়েছে ৭১ ডলারে। মঙ্গলবারের তুলনায় ডব্লিউটিআই ব্যারেলের দাম কমেছে দশমিক ৩৩ ডলার বা শতকরা হিসেবে দশমিক ৫ শতাংশ।

প্রায় তিন মাস মন্দায় থাকা অপরিশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক বাজার খানিকটা চাঙা হয়েছিল গত সোমবার। গত ১১ মার্চ ও ১৩ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের দুই বৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক সিলিকন ভ্যালি (এসভিবি) ও সিগনেচার ধসে পড়ার জেরে অন্যান্য শক্তিশালী বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মান কমে গিয়েছিল দশমিক ৫৮ ডলার।

জ্বালানির আন্তর্জাতিক বাজার প্রায় সম্পূর্ণভাবে ডলারের ওপর নির্ভরশীল। ফলে ডলারের দাম কমে যাওয়ায় খানিকটা চাঙা হয়ে উঠেছিল অপরিশোধিত তেলের বাজারও। অবশ্য এই চাঙাভাব টেকসই হবে কিনা, তা নিয়ে সে সময়ই সংশয় ছিল বিশেষজ্ঞদের। তবে বুধবারের পতনের পর তাদের অনেকেই বলেছেন, এই মন্দাভাব সহজে কাটবে না এবং এর প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী।