আপদকালীন খাদ্য মজুতে বরিশাল নগরীতে অত্যাধুনিক সাইলো নির্মাণ

আপদকালীন খাদ্য মজুতে বরিশাল নগরীতে অত্যাধুনিক সাইলো নির্মাণ

 আপদকালীন সময়ে খাদ্য সহায়তা বাড়াতে বরিশালে নগরীতে নির্মিত হচ্ছে অত্যাধুনিক স্টিল সাইলো। দুই বছর পর্যন্ত মান অপরিবর্তিত রেখে ৪৮ হাজার মেট্রিক টন চাল সংরক্ষণ করা যাবে। এমনকি চাল লোড-আনলোডের সকল কাজ হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। বর্তমানে বরিশালের ৬ জেলায় স্থানীয় পদ্ধতিতে প্রায় ৯০ হাজার টন খাদ্য মজুদের ব্যবস্থা রয়েছে। অত্যাধুনিক খাদ্য মজুদের ক্ষেত্রে সাইলো হবে বাড়তি শক্তি।

নগরীর ত্রিশ গোডাউন এলাকায় ৫২০ শতাংশ জমির ওপর ৩৩০কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে স্টিল সাইলো। সেখানে ১৬টি বিনে ধারণ ক্ষমতা তিন হাজার টন করে। বেশিরভাগ চাল আসবে নদীপথে। সেখানে জেটি থেকে কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে অটোমোশনে সংরক্ষণাগারের প্রতিটি বিনে চাল মজুদ হবে। এছাড়া সড়ক পথে চাল সরবরাহের জন্য রয়েছে প্যাকেজিং হাউজ। এখান থেকে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলাসহ সারা দেশে এ চাল সরবরাহ সম্ভব হবে।

যে কোন দুর্যোগে সাইলোতে রক্ষিত চাল বরিশাল বিভাগের ছয় জেলাবাসীকে বড় ধরনের সহায়তা দিতে পারবে, বললেন এর সাথে সংশ্লিষ্টরা।

সাইলোতে রক্ষিত চাল তিন বছরে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। একই সাথে দুর্যোগকালীন সময় নদী ও সড়ক পথে চাল সরবরাহও সহজ হবে।

খরা, ঝড়, বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের পর সাইলোর মাধ্যমে খাদ্যসহায়তা চালিয়ে যেতে সহজ হবে বলে অভিমত এসেছে।’