আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন ট্রাম্প
আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে পৌঁছেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (৩ এপ্রিল) ব্যক্তিগত বিমানে করে সেখানে পৌঁছান তিনি। পরে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে যান এবং এখন সেখানেই অবস্থান করছেন।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) আদালতে ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার আগে তিনি ট্রাম্প টাওয়ারেই রাত কাটাবেন। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক পর্ন তারকার মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে পৌঁছেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আদালতে ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার আগে সেখানেই তিনি রাত কাটাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মামলার শুনানি হবে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরে। তবে অভিযোগের বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করা হয়নি। বিবিসি বলছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া দুইটায় এই শুনানি শুরু হবে এবং ট্রাম্প যে অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন তা সেসময়ই সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করা হবে। ৭৬ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্পই ইতিহাসে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন।
অবশ্য যেকোনও ধরনের অন্যায়ে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় গত সপ্তাহে ট্রাম্প ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তাকে মোটা অঙ্কের অর্থ দেওয়া হয়। তবে শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প।
মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টাসহ ব্যবসায়িক জালিয়াতির সাথে সম্পর্কিত ৩০ টিরও বেশি অভিযোগের মুখোমুখি হবেন ট্রাম্প।
মামলার সাথে পরিচিত সূত্রগুলো মার্কিন মিডিয়াকে জানিয়েছে, সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রথম ডিগ্রিতে ব্যবসায়িক রেকর্ড জাল করার অভিযোগ আনা হচ্ছে। এটি মূলত মার্কিন আইনের অধীনে একটি অপরাধ।
ট্রাম্পের শুনানিকে সামনে রেখে এফবিআই, নিউইয়র্ক সিটি কোর্ট কর্মকর্তারা এবং সিক্রেট সার্ভিসসহ আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা মঙ্গলবারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগও শহরের আশপাশে যেকোনও বিক্ষোভের আশঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বলে জানা গেছে।