আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে : প্রধানমন্ত্রী

আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে : প্রধানমন্ত্রী

তিস্তা চুক্তিসহ অনিষ্পন্ন বিষয় নিষ্পত্তির জন্য ভারতের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। এছাড়াও সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবারও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। আমি কখনোই ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাই না। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। আমি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলের নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

ডেরেক শোলেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় জনগণের খাদ্য ও ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছি। প্রথমবারের মতো সংসদে ইসির পুনর্গঠন আইন পাস হয় এবং তারপর সেই আইনের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। ইসি সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন এবং এর প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের ভিত্তি নেই। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে হয়েছে।

সামাজিক অর্থনৈতিক বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয়ে আলোকপাত করে শেখ হাসিনা বলেন, বিগত ১৪ বছরে বাংলাদেশের এই পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়েছে। দেশে অব্যাহত গণতান্ত্রিক চর্চা ও স্থিতিশীলতার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে। আলোচনায় রুশ-ইউক্রেইন যুদ্ধ ও রোহিঙ্গা ইস্যুও স্থান পায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের উচিৎ এই যুদ্ধ বন্ধ করতে উদ্যোগ নেওয়া। কারণ এর ফলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ও নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ কখনোই মানব জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে এই বিরোধের মীমাংসা হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।