আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনকারীদের যেন শাস্তি হয়: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনকারীদের যেন শাস্তি হয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে হত্যা করেছে। এসবের বিচার করতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে দাবি করছি; তাদের যেন সাজা হয়। 

আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আইনজীবী মহাসমাবেশে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি অবাক হয়েছি, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমানের সহায়তায় খন্দকার মোশতাক আহমেদ ক্ষমতা দখল করে। কিন্তু টিকতে পারেনি। যারা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ায়, তারা বেঈমানদের ব্যবহার করে, কিন্তু রাখে না। এটাই হলো বাস্তবতা। মোশতাককে বিদায় নিতে হয়। আসল চেহারা বেরিয়ে আসে জিয়াউর রহমানের। একাধারে সেনাপ্রধান ও নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি, এদেশের নাগরিক হিসেবে বিচার পাওয়া আমাদের অধিকার ছিল না। কিন্তু সে অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে, ইনডেমনিটি আইন জারি করে। শুধু ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়নি, জিয়াউর রহমান জনগণের ভোট চুরি করে নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস করেছে তাঁর হ্যাঁ/না ভোট। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংবিধান এবং মিলিটারি আইন ভঙ্গ করে নিজে সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এরপর দল গঠনের মধ্য দিয়ে জনগণের সঙ্গে কারচুপি করে। ’৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করে তখন থেকে আমাদের লক্ষ্য যেন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়।

বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্যাতন, হত্যা করেছে। এসবের বিচার করতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই তাদের যেন সাজা হয়।

এর আগে বেলা ১১টা দিকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ১৫তলা ভবন উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। উদ্বোধনী শেষে বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আইনজীবী মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজীবউল্লাহ্ হিরু, আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল প্রমুখ