৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ৪০০টিরও বেশি ভুল সংশোধন করেছে এনসিটিবি

৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ৪০০টিরও বেশি ভুল সংশোধন করেছে এনসিটিবি

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) চলতি শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ৪০০টিরও বেশি ভুল সংশোধন করেছে।

এনসিটিবি গত শুক্রবার তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়ভিত্তিক এসব সংশোধন প্রকাশ করেছে।

এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান জানান, এই সংশোধনগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্কুল প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, 'সংশোধনের আগে ত্রুটি খুঁজে বের করতে কমিটি এই দুই শ্রেণির ইংরেজি ও বাংলা সংস্করণের মোট ৪৮টি বই পর্যালোচনা করেছে।'

এনসিটিবির বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদাভাবে এই সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। কোন পৃষ্ঠায় ভুলগুলো কী ছিল, সেটি উল্লেখ করে সংশোধনীগুলো কী কী হবে তা, উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করণীয় সম্পর্কে মন্তব্যও করা হয়েছে।

বাংলা সংস্করণে ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রায় ২০২টি এবং সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ২২৬টি সংশোধন করা হয়েছে। এছাড়া, এই ২ শ্রেণির ইংরেজি সংস্করণে বিভিন্ন বইয়ে প্রায় ৫৬টি সংশোধনী দেওয়া হয়েছে।

উভয় শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে সবচেয়ে বেশি এবং বাংলায় সবচেয়ে কম ভুল রয়েছে।

চলতি শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে সবচেয়ে বেশি ৭১টি এবং সবচেয়ে কম বাংলা বইয়ে চারটি সংশোধন করা হয়েছে।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ে ৩৬টি, ইংরেজি ৩৫টি, জীবন ও জীবিকা ১৫টি, বিজ্ঞান ৭টি, গণিতে ৫টি, বাংলা ৪টি, শিল্প ও সংস্কৃতি ৫টি, ইসলাম শিক্ষা ৭টি ও হিন্দু ধর্ম শিক্ষা বইয়ে ১৬টি ভুল সংশোধন করা হয়েছে।

একইভাবে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ইয়ে ৬৫টি, জীবন ও জীবিকা ২৮টি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ২৪টি, বাংলা ২১টি, ইংরেজি ১১টি, গণিতে ২২টি, বিজ্ঞানে ৪টি, ডিজিটাল প্রযুক্তি ৫টি, শিল্প ও সংস্কৃতি ১৮টি, ইসলাম শিক্ষায় ৯টি, হিন্দুধর্ম শিক্ষায় ১২টি এবং খ্রিস্ট ধর্ম শিক্ষায় ৭টি সংশোধনী আনা হয়েছে।

বই হস্তান্তরের ৪ মাস পরে সংশোধনী দেওয়ায় শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে কি না, জানতে চাইলে অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, 'এগুলো কোনো বড় ত্রুটি বা ভুল না।'

তিনি বলেন, 'প্রথমে আমরা মাত্র ৩টি বই পর্যালোচনা করার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে সব ভুল খুঁজে বের করার জন্য প্রতিটি বই পর্যালোচনা করেছি। এর ফলে ভবিষ্যতে আরও ভালো পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করা সম্ভব হবে।'

তিনি উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ে এই সংশোধনগুলো বাস্তবায়নে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে শিক্ষকদের। তারা শিক্ষার্থীদের এসব সংশোধন সম্পর্কে অবহিত করবেন।