২৫ বছর পর টাইটানিক পরিচালক বললেন, জ্যাককে বাঁচানো যেতো
মুক্তির ২৫ বছর, তবুও অপ্রতিরোধ্য টাইটানিক। ১৯৯৭ সালে জেমস ক্যামেরনের পরিচালিত তুমুল জনপ্রিয় ছবি টাইটানিক। মুক্তির দুই দশক পর এসে এখনও ছবিটিকে ঘিরে থামেনি আলোচনা। তবে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নের মুখে টাইটানিক পরিচালককে পড়তে হয়েছে তা হলো, জাহাজডুবির পর কোনোভাবেই কী জ্যাক বেঁচে থাকতে পারতো না? ২৫ বছর পর ন্যাশনাল জিওগ্রাফির সাথে মিলে বাস্তবধর্মী একটি পরীক্ষা করে এর উত্তর দিয়েছেন জেমস ক্যামরন। খবর দ্য উইকের।
টাইটানিক ছবির যত জনপ্রিয় দৃশ্য আছে, তার মধ্যে জ্যাকের মৃত্যুর দৃশ্যটিই সবচেয়ে প্রশ্নবিদ্ধ। ভক্তকূলের প্রশ্ন, জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর কী কোনোভাবেই জ্যাক বেঁচে থাকতে পারতো না? একই খাটের ভাঙা অংশতে না হোক অন্তত অন্য কোনোভাবে? আর এ প্রশ্নই জনপ্রিয় এ ছবিকে ঘিরে চলে আসছে দুই দশক ধরে। অনেকের দাবি, জেমস ক্যামরন অযথাই জ্যাক চরিত্রের ওপর নির্মমতা প্রদর্শন করেছেন। জ্যাককে বাঁচার চেষ্টা পর্যন্ত করতে দেয়া হয়নি। অবশেষে টাইটানিকের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নেমেছেন পরিচালক।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফির সাথে মিলে পুরনো বিতর্কটিই বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পুনর্বিবেচনা করেছেন। ‘টাইটানিক: ২৫ ইয়ারস লেটার উইথ জেমস ক্যামেরন’ নামের একটি প্রকল্পে দুইজন স্ট্যান্ড পারসনকে নিয়ে একটি সুইমিংপুলে চালানো হয়েছে পরীক্ষা। সেখানে পুরুষ ও নারী স্ট্যান্ড পারসনের শারীরিক গঠন ছিল জ্যাক ও রোজের মতোই। সেই সাথে সেখানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকও। কৃত্রিমভাবে ওই সুইমিংপুলে হিমশীতল আবহাওয়া তৈরি করা হয়। সেই সাথে জাহাজ ডোবার পর থেকে ঘটে যাওয়া প্রতিটি মুহূর্তেরও খুটিনাটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে।
পরীক্ষা শেষে ফলাফল প্রকাশ করেছেন জেমস ক্যামরুন। তার মতে, রোজ ও জ্যাক যদি দুজনেই সেই কাঠের টুকরোর ওপর ভর দিয়ে শরীরের উপরের অংশ ভাসিয়ে রাখতো এবং রোজ যদি তার লাইফ জ্যাকেট দিয়ে জ্যাককে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করতো তা হলে জ্যাকের বেঁচে থাকার সুযোগ ছিল।
যদিও জ্যাককে এমনভাবে বাঁচিয়ে রাখা কঠিন ছিল বলে দাবি ক্যামেরনের। কারণ, জ্যাক এমন কোনো কাজ করতেই পারে না, যাতে রোজ সামান্যতম কোনো সমস্যায় পড়ে। তার চেয়ে মৃত্যুই তার কাছে স্বস্তির ছিল। আর সেভাবেই জ্যাকের মৃত্যু অবধারিত ছিল টাইটানিকে।