স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত পুলিশ: আইজিপি

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত পুলিশ: আইজিপি

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আগামী দিনের যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের মতো যে সকল শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়, পুলিশ যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে সাহসিকতার সাথে সবসময় কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩-এর পঞ্চম দিনে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি বলেন, পুলিশের যতটুকু সার্ভিস দেওয়ার কথা সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে আমরা সবটুকু সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করেছি। করোনা মহামারিতে পুলিশ সদস্যরা জীবন বাজি রেখে সাধারণ মানুষের সেবায় নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত কাজ করেছেন। আমাদের দায়িত্ব ছিল কোয়ারেন্টাইন এনফোর্স করা, স্বাস্থ্যবিধি এনফোর্স করা। এর বাইরে গিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে সেবা করেছে পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, করোনার সময় আমরা টেলিফোন নম্বর বা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে ফোন কল পেয়ে অনেককে সাহায্য করেছি। অনেকে হয়তোবা কারো কাছে সাহায্য সহযোগিতা চাইতে পারেনি। তখন আমাদের লুকিয়ে লুকিয়ে ফোন করেছে। তাদের ঘরে আমরা খাবার পৌঁছে দিয়েছি। সামাজিক দূরত্ব মানার জন্য তারা ঘর থেকে বের হতে পারতো না। কাজ করতে পারত না। ফলে ঘরে আহার ছিল না। সে কারো কাছে চাইতে পারত না। তাকেও আমরা খাবার পৌঁছে দিয়েছি। করোনার সময় রোগীদের মানবিকতার চরম বিপর্যয় ঘটেছিল। সে সকল রোগীকেও আমরা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। করোনায় মৃত ব্যক্তির সৎকার করেছি। আপনারা আমাদের যে সহায়তা দিয়েছেন তার জন্য পুলিশের প্রতিটি সদস্য মনে করেছে এদেশের জন্য ও এদেশের মানুষের জন্য সাপোর্ট দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। সে দায়িত্ববোধ থেকে পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্তব্য পালন করেছে। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি সাধারণ মানুষের জন্য যা করা দরকার এটা আমাদের পুলিশ বাহিনী করবে।