লক্ষ্য এবার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ : সজীব ওয়াজেদ জয়

লক্ষ্য এবার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ : সজীব ওয়াজেদ জয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ সফল বাস্তবায়নের পর লক্ষ্য এবার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, ১৩ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে ব্যাপকভাবে। প্রত্যন্ত গ্রামেও বর্তমানে ডিজিটাল সেন্টার থেকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ডিজিটাল সেন্টার থেকে নাগরিকেরা প্রায় ৮০ কোটির অধিক সেবা গ্রহণ করেছেন।

তিনি জানান, অনলাইন শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে দ্বিতীয়। প্রায় সাড়ে ছয় লাখ প্রশিক্ষিত ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সিং খাত থেকে অন্ততপক্ষে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে।

২০৪১ সালের মধ্যে সারাদেশের সব স্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা।

পোস্টের নিচে আইসিটি খাতের তথ্য নির্ভর একটি ভিডিও কনটেন্ট সংযুক্ত করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

ওই ভিডিওতে বলা হয়, মাত্র ১৩ বছরে ৬৫ লাখ থেকে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি এবং মোবাইল সংযোগের সংখ্যা ১৮ কোটির ওপরে।

জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৮ হাজার ৮০০টির বেশি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৭০ লাখেরও অধিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ডিজিটাল সেন্টার থেকে নাগরিকেরা প্রায় ৮০ কোটির অধিক সেবা গ্রহণ করেছেন। ফলে নাগরিকদের ৭৮ দশমিক ১৪ শতাংশ কর্মঘণ্টা, ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ ব্যয় এবং ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ যাতায়াত সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে।

এ ছাড়া পেপারলেস কমিউনিকেশন চালু করার লক্ষ্যে ই-নথির মাধ্যমে ২ কোটি ৪ লাখের অধিক ফাইলের নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ই-নামজারি সিস্টেমের মাধ্যমে ৪৫ দশমিক ৬৮ লাখের অধিক আবেদনের নিষ্পত্তি করা হয়েছে অনলাইনে।

নানান সুবিধা পাওয়ার ফলে দেশে স্টার্ট আপ ইকো সিস্টেম গড়ে উঠেছে। প্রায় আড়াই হাজার স্টার্ট আপ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। যারা প্রায় আরও ১৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। মাত্র সাত বছরে এ খাতে সাত শ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এসেছে।

অনলাইন শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান সারাবিশ্বে দ্বিতীয়। প্রায় সাড়ে ৬ লাখ প্রশিক্ষিত ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সিং খাত থেকে অন্ততপক্ষে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে।

১৩ বছর আগে ডিজিটাল অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। আর বর্তমানে তা ১ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সরকারের লক্ষ্য ২০২৫ সালে আইসিটি রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলার এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইসিটি খাতে কর্মসংস্থান ৩০ লাখে উন্নীত করা।

আইসিটি পার্কে দেশি বিদেশি ১৯২টি প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৩৫ হাজার শেখ রসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে।

জরুরি সেবার মাধ্যমে সুবিধা পাচ্ছে জনগণ। জরুরি সেবা ৯৯৯, সরকারি তথ্য ও সেবা ৩৩৩, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ১০৯, দুদক ১০৬, দুর্যোগের আগাম বার্তা ১০৯০’ লক্ষ্য এবার স্মার্ট বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গড়ে উঠবে একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ২০৪১ সালে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে চলে যাব। এটাই এখন আমাদের টার্গেট।