ববিতার পর ‘বীরাঙ্গনা সখিনা’য় মৌ

ববিতার পর ‘বীরাঙ্গনা সখিনা’য় মৌ

১৯৮৯ সালের ৭ মে মুক্তি পেয়েছিল মতিন রহমান পরিচালিত ববিতা অভিনীত সিনেমা ‘বীরাঙ্গনা সখিনা’। সিনেমাটিতে ববিতার অভিনয় সেই সময় বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। ৩৪ বছর পর ভিন্ন গল্প নিয়ে শিহাব শাহরিয়ারের রচনায় স্বাধীনতা দিবসকে উপলক্ষ্য করে নির্মিত হলো নাটক ‘স্বাধীনতার স্বপ্ন ফুল’।

নাটকটির গল্প মূলত সখিনা ও তার জীবন যুদ্ধকে কেন্দ্র করেই। শিহাব শাহরিয়ারের রচনায় মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের সখিনার গল্পই তুলে ধরা হয়েছে এ নাটকটিতে। এতে বীরাঙ্গনা সখিনা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাহমিনা সুলতানা মৌ। 

তাহমিনা সুলতানা মৌ বলেন, ‘ধাত্রীবিদ্যায় পারদর্শী সখিনা মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তি ক্যাম্পে ও একই সাথে পাকিস্তানি হানাদার ক্যাম্পেও কাজ করতো। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সময় হানাদারদের ক্যাম্পের বর্বর দুই জানোয়ারের হাতে ধর্ষিতও হয় সখিনা। তারপর থেকে দা হাতে নেয় সখিনা। পাগলি সেজে গ্রামের রাজাকার ও পাকিস্তানি শয়তান সৈনিকদের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে মাঠে নামে। গ্রামের যুবকদের মুক্তিযুদ্ধে পাঠানোর কাজ করে। এভাবেই দেশ স্বাধীন করতে এগিয়ে আসে সখিনা। এমনই গল্প নিয়ে আসলে এই নাটকটি নির্মিত হয়েছে। জাহানারা ইমামের একটি গল্প অবলম্বনে এই নাটকটি নির্মিত হয়েছে। আমি এর আগে ববিতা আপার ‘বীরাঙ্গনা সখিনা’ সিনেমাটি দেখিনি। তবে আমি জানতাম যে তিনি এমন একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করাটা আমার জন্য ছিল ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। রাজধানীর অদূরে পূবাইলে শুটিং হয়েছে। পুরো ইউনিট একটি ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছে। আমি যদিও বা নিজে সন্তুষ্ট নই, আরো ভালো করা যেতো। তারপরও আশা রাখছি, দর্শকের ভালো লাগবে।’ 

নাটকটি প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশ টেলিভিশন। আগামী ১০ মার্চ নাটকটি বিটিভিতে প্রচার হবে। এর আগে মৌ ‘সোনাভান’সহ আরো কয়েকটি মুক্তিযুদ্ধের নাটকে অভিনয় করেছেন। তবে এমন চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে এর আগে কাজ করার সুযোগ পাননি তিনি। তাই ‘স্বাধীনতার স্বপ্ন ফুল’ নাটকটি তার অভিনয় জীবনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি নাটক হিসেবেই বিবেচনা করেছেন তিনি।