ফিলিস্তিন ইস্যুতে এক হওয়ার আশ্বাস আরব নেতাদের
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়েছে আরব নেতারা। মিশরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা, বছরের পর বছর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চলা সংঘাত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। শনিবার (২১ অক্টোবর) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার পর বিশ্ব নেতাদের নীরবতার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি এ সংকট সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
জর্ডানের বাদশাহ বলেন, আরব বিশ্ব পশ্চিমাদের কাছ থেকে বার্তা পাচ্ছে ইসরায়েলিদের জীবনের থেকে ফিলিস্তিনিদের জীবনের মূল্য কম। গাজায় নিরীহ মানুষকে হত্যা এবং ইসরায়েলের পশ্চিম তীরে চালানো হামাসের হামলায় যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের জন্য শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের জোর করে বাস্তুচ্যুত করা যুদ্ধাপরাধের শামিল। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত একটি রাষ্ট্র ক্রমাগত অন্যায় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। অবশ্যই ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলে ভবিষ্যত নিরাপত্তা এবং শান্তি চাই।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ফিলিস্তনিদেরকে তাদের মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। ‘আমরা কখনওই তা ছাড়বো না, কখনওই তা ছাড়বো না।
পশ্চিমাদের সমালোচনা করে মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসি বলেন, খুবই কঠিন একটি পরিস্থিতিতে আজ আমরা কায়রোতে মিলিত হয়েছি। যেটি আমাদেরমানবিকতার উপর বিশ্বাসের পরীক্ষা নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসি কায়রোতে একটি শান্তি সম্মেলনে বিভিন্ন নেতাদের আহ্বান করেন। এ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি মূলত গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান জানান। যে রোডম্যাপের মাধ্যমে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং যুদ্ধ বন্ধ হবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। এমন এক সময়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো যখন গাজায় ইসরায়েল স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইতোমধ্যে ইসরায়েলের হামলায় ৪১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। একদিনে একটি হাসপাতালেই নিহত হয় ৫০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি। যার মধ্যে অধিকাংশ শিশু ও নারী।